দু'বেলা জুটত না খাবার, অতীতকে পিছনে ফেলে ৩০ কোটির মানালির প্রাসাদের মালকিন কঙ্গনা

হিমাচল প্রদেশের ছোট শহর মান্ডির বাসিন্দা ছিলেন কঙ্গনা রনাওয়াত। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে কঙ্গনা। কনসারভেটিভ বাবা চেয়েছিলেন মেয়ে ডাক্তার হবে। বাড়ির চাপে তেমনভাবে এগোতে গিয়েও মন আর রাজি হল না। ডাক্তার হওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে ছিল না তাঁর। ছোট থেকেই 'ক্যুইন' হওয়ার স্বপ্ন। হাতছানি দিত লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের জগৎ। সময় নষ্ট না করেই হিমাচল থেকে চলে আসেন চন্ডীগড়। তারপর ধীরে ধীরে চন্ডীগড় থেকে দিল্লি, দিল্লি থেকে মুম্বই। নেই কোনও ফিল্মি মানুষজনের সঙ্গে চেনাশোনা। লাখ লাখ ছেলে-মেয়ে নিত্যদিন মুম্বই আসে অভিনেতা, অভিনেত্রী হওয়ার আশা। 
 

Adrika Das | Published : Aug 12, 2020 12:17 PM IST
110
দু'বেলা জুটত না খাবার, অতীতকে পিছনে ফেলে ৩০ কোটির মানালির প্রাসাদের মালকিন কঙ্গনা

কঙ্গনাও এসেছিলেন সেই স্বপ্ন নিয়েই। কিন্তু লাখ লাখ মেয়েদের মধ্যে কেনই বা তাঁকে সুযোগ দেওয়া হবে অতগুলি মেয়ের মধ্যে। এই ভাবনায় আটকে থাকেননি কঙ্গনা। 

210

বরং স্টিরিওটাইপের গণ্ডি পেরিয়ে আজ তিনি সত্যি সত্যিই হয়ে উঠেছেন বলিউডের ক্যুইন। সবটাই তাঁর প্রতিভার জোরে। তবে একটা সময় ছিল যখন দু'বেলা ঠিকভাবে খাবারও জোটেনি তাঁর। 

310

ব্যাঙ্কের সমস্ত সঞ্চয় চলে আসে শেষের খাতায়। বাড়ি থেকে টাকা পাঠানোও ছিল বন্ধ। যার কারণে কঙ্গনার ব্যাঙ্করাপ্ট হতে বেশি সময় লাগেনি। 

410

একদিনের খাবারের জন্য জুটত রুটি এবং আচার। সেখান থেকে কঠোর পরিশ্রমে আজ তিনি হাইয়েস্ট পেড অভিনেত্রীদের তালিকায় একজন। খাদ্যাভাব থেকে দুই প্রকান্ড বাড়ির মালকিন এখন কঙ্গনা।

510

কঙ্গনার মানালির বাড়িটির দাম তিরিশ কোটি টাকা। যা দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় নেটিজেনের। পাহাড়ের কোলে এমন প্রকান্ড মহল কার না স্বপ্ন। 
 

610

তবে বাড়িটিকে সম্পূর্ণ ম্যানশনের রূপ দেননি কঙ্গনা। বাড়ির মতই রেখেছেন বাড়ির সাজগোজ। যাকে বলে মিনিমালিস্টিক ইন্টিরিওর। অতিরিক্ত প্রাসাদ ডিজাইন না রেখে মডার্ন রেখেছেন বাড়ির ডিজাইন। 

710

কঙ্গনা যে কেবল ফ্যাশনের দিক থেকেই টপ নচ তা নয়। বাড়ির ডিজাইনের বিষয়ও অত্যন্ত খুঁতখুতে। কোথায় ঠিক কোন জিনিসটি বসলে ভাল লাগবে সেই দিকেও রয়েছে তাঁর নজর। 

810

ইউরোপিয়ান থিমেই তৈরি হয়েছে কঙ্গনার মানালির এই বাড়ি। কাঁচের বারান্দা থেকে শুরু করে কাঁচের ঘর, বাড়িটি থেকে যেন চোখই সরে না কারও। 

910

ভিতরে রয়েছে, আটটি ঘর, কনসারভেটরি, জিম, যোগার ঘর, ফ্যায়ার প্লেস। কোয়ারেন্টাইনে সেখানেই রয়েছেন কঙ্গনা। সপরিবারে মানালির বাড়িতে সুখে শান্তিতে কাটাচ্ছেন দিন। 

1010

শহরের তুলনায় মানালিতে দূষণ তো কমই সঙ্গে ভাইরাসও তেমন ঘন ঘন থাবা বসায়না। পাহাড়ের মাঝে তাঁর বাড়িটি দেখলে যে মনে হয় বিদেশের কোনও স্ন্যাপ। মানালির মনোরম পরিবেশে ক্যুইনের বাড়ি হল চেরি অন দ্য টপ। 

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos