Published : Jun 20, 2020, 10:32 AM ISTUpdated : Jun 20, 2020, 11:56 AM IST
সুশান্তের মৃত্যুর পর একের এক বোমা ফাটাচ্ছেন বলিউডের কন্ট্রোভার্সি কুইন কঙ্গনা রানাউত। তিনিই প্রথম সুশান্তের মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি খুন এর দাবি তুলেছিলেন। ফের আওয়াজ তুললেন কঙ্গনা। স্বজনপোষণ নিয়ে জোর জল্পনা দানা বেধেছে বি-টাউনের অন্দরে। তিনিও সুশান্তের মতো শিকার হয়েছিলেন।তাকে হুমকি থেকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছিলেন জাভেদ আখতার। রোশন পরিবারের কাছে ক্ষমা না চাইলে আত্মহত্যা করতে হবে কঙ্গনাকে। জাভেদ আখতারকে নিয়ে কঙ্গনার এই বিস্ফোরক মন্তব্য মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সুশান্ত সিং রাজপুতকে নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। সুশান্ত যখন মহেশ ভট্টর কাছে কাজের জন্য গেছিলেন, তখন পারভিন ববির সঙ্গে তুলনা টেনেছিলেন মহেশ। সুশান্তও যে এরকম একটা কিছু করতে চলেছে তা নাকি আগেই টের পেয়েছিলেন মুকেশ ভাট। সেই প্রসঙ্গ টেনেই পাল্টা জবাব দিয়েছেন কঙ্গনা।
211
সুশান্তের সঙ্গে যেই ব্যবহার করা হতো আমিও সেইরকমই ভুক্তভোগী। আমাকেও একই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন কঙ্গনা।
311
জাভেদকে নিয়ে এবার মুখ খুললেন কঙ্গনা। তিনি জানিয়েছেন, হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে যখন ঝামেলা চলেছ, তখন একদিন নিজের বাড়িতে ডেকেছিলেন জাভেদ আখতার।
411
জাভেদ আখতার কঙ্গনাকে জানিয়েছিলেন, রোশন পরিবার অত্যন্ত প্রভাবশালী, ওদের কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে নাও।
511
আর যদি ক্ষমা না চাও তাহলে তোমারও আর যাওয়ার কোনও জায়গা থাকবে না। তোমাকে ওরা জেলে ঢুকিয়ে দেবে। এর পর তুমি নিজে আত্মহত্যা করবে।
611
কঙ্গনা জাভেদের এই কথায় প্রশ্ন তুলেছেন, কেন সেদিন জাভেদের মনে হয়েছিল হৃত্বিকের কাছে ক্ষমা না চাইলে আমাকে আত্মহত্যাই করতে হবে। এই কথা বলার পরই খুব চিৎকার করেছিলেন জাভেদ। এবং সেদিন রীতিমতো ভয়ে কাঁপছিলেন তিনি, জানিয়েছেন কঙ্গনা।
711
কঙ্গনা আরও জানিয়েছেন, তার নিজের মতোন সুশান্তকেও কি জোর করে আত্মহত্যার কথা মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
811
তবে কি সুশান্তও এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন, একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন কঙ্গনা। তিনি আরও বলেছেন সুশান্তের সঙ্গে এই কাজটি কে বা কারা করেছেন।
911
যশ রাজ ফিল্মসের উপরও অভিযোগ তুলেছেন কঙ্গনা। তিনি জানিয়েছেন, সুলতান ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পরও আদিত্যর থেকেও হুমকি পেয়েছিলেন কঙ্গনা। যে যশ রাজ ফিল্মস আর কোনওদিনই কোনও কাজ করবেন না। আর সেদিনের পর থেকে সবাই সরে গিয়েছিল আমার থেকে।
1011
কঙ্গনা জানিয়েছেন, একের পর এক ঘটনাতে আমিও একাকীত্বে ভুগতাম। এদের ভাল মুখোশটা এবার টেনে ছিড়ে ফেলার সময় চলে এসেছে বলে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিনেত্রী।
1111
এই প্রভাবশালীদের ছায়া কঙ্গনার ব্যক্তিগত জীবনেও পড়েছিল। এখনও তার কেরিয়ারের কোনও নিশ্চয়তা নেই। আদালতে মামলা থেকে তার প্রেম সবটাই শেষ। সকলে একত্রিত হয়ে আজও প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, মত কঙ্গনার।