বর্তমানে একজন সফল নায়ক হওয়ার পাশাপাশি শাহিদ একজন ভালো মনের মানুষ। বেশ কিছু সিনেমায় তাঁর অভিনয় দর্শকদের ভালোবাসা কুড়িয়েছিল। তাঁর স্টাইল এবং লুকেই কুপোকাত গোটা বি-টাউন। তবে ছোটবেলা থেকে মানসিকভাবে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় শাহিদকে।
মাত্র ৩ বছর বয়সে তাঁকে সাক্ষী থাকতে হয় বাবা মায়ের বিচ্ছেদের। শুধু তাই নয় রোগা বলে সইতে হয় অনেক অপমান। শাহিদ কাপুরের (Shahid Kapoor) এমনই কিছু অজানা তথ্য (Unknown Facts) যা আপনাকে অবাক করবে।
মাত্র ৩ বছর বয়েসেই শাহিদের (Shahid Kapoor) বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকে শাহিদ তাঁর মা এবং দাদু,দিদার সঙ্গেই দিল্লিতে থাকতে শুরু করে।
মা নীলিমা আজিম অভিনয় সূত্রে ১০ বছরের শাহিদকে নিয়ে চলে যান স্বপ্নের শহর মুম্বইতে। তখন থেকেই শাহিদের (Shahid Kapoor) মুম্বইয়ের যাত্রা শুরু হয়।
কলেজ জীবন অব্দি ছিল না কোনও বন্ধু। বাবা পঙ্কজ কাপূর ছিলেন শাহিদের (Shahid Kapoor) সবচেয়ে কাছের বন্ধু। মায়ের সঙ্গে থাকলেও বরাবরই বাবা প্রিয় ছিল সে।
বলিউড (Bollywood) এ তাঁর যাত্রা শুরু হয় একজন ব্যাকগ্রাউন্দ নৃত্ত (Dancer) শিল্পী হিসাবে। তাল, দিল তো পাগাল হ্যাঁয় এর মতো সুপারহিট সিনেমাতে সহকারী নৃত্ত শিল্পী হিসাবে তাঁকে দেখা যায়।
একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করার পরই শাহিদ সুযোগ পায় ইমতিয়াজ আলি পরিচালিত যাব উই মেট সিনেমায়। প্রথমে অবশ্য ববি দেওয়াল নেওয়ার কথা হয় সেই চরিত্রের জন্য তবে অন্য কাজ হাতে থাকায় সময় বার করতে পারেননি ববি।
আর তারপরেই ইমতিয়াজ আলি এর সঙ্গে পরিচয় হয় শাহিদের। চিত্রনাট্য পছন্দ হওয়াই এক কথাতেই রাজি হয়ে যান শাহিদ। ইমতিয়াজ আলি পরিচালিত এবং শাহিদ কাপূর অভিনীত যাব উই মেট তাঁর জীবনের ও বলিউডের অন্যতম সুপারহিট সিনেমা।
রঙ্গ দে বসন্তি সিনেমায় সুযোগ পেলেও অন্যান্য ছবির কাজে ব্যাস্ত থাকায় সময় বার করতে পারেননি তিনি। যদি তাঁর কথায় এই সিনেমায় অভিনয় না করতে পারাটা তাঁর কাছে যথেষ্ট আপসোসের।
কামিনি ছবি দিয়েই শুরু তাঁর চিত্রনাট্য নির্ভর ছবিতে কাজ করা। বিভিন্ন ধরণের চরিত্রে নিজেকে দেখার প্রস্তুতি শুরু করেন শাহিদ। হ্যাঁডার, উডটা পাঞ্জাব এবং কাবির সিং এর মতো ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে তিনি মন জয় করেছেন দর্শকদের।