'এমন কী মিথ্যে, যা বললেই টিচাররা আর মারতেন না তাঁকে', কেমন ছিল শাহরুখের স্কুল জীবন
ছোট থেকেই অভিনয়টা ভালোই পারতেন শাহরুখ খান। তা বুঝতেই অনেক সমস্যার সমাধার এক মুহূর্তে হয়ে গিয়েছিলন। স্কুল জীবনে ভিষণ দুষ্টু ছিলেন কিং খান। তবে কেউ তাঁকে মারতে পারত না, কেন তা খোলসা করেছিলেন তিনি নিজেই।
শাহরুখ খান দিল্লির ছেলে। ছোট থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল তিনি অভিনেতা হবেন। তাই বোধ হয় চর্চাটা শুরু করেছিলেন স্কুল জীবন থেকেই।
তাঁর চোখের জল যে মানুষকে মুহূর্তে কাঁদানোর ক্ষমতা রাখে তাও শাহরুখ বুঝতে পেরেছিলেন স্কুল জীবনে। দিনের পর দিন শিক্ষিকাদের বোকা বানিয়েছেন তিনি।
শাহরুখ খান ছিলেন ভিষণ দুষ্টু। অধিকাংশ দিনই হোম ওয়ার্ক করতেন না। পাশাপাশি তাঁর রেজাল্টও হত বেশ খারাপ।
টিচাররা তাঁকে বোকতে গেলেই ছল ছল চোখে তাকিয়ে থাকতেন তিনি। জিনিস পত্র ভেঙে ফেলারও বদাম ছিল তাঁর নামে। কিন্তু তারপরও মার খেতেন না।
কী বলে পার পেতেন কিং খান, এক সাক্ষাৎকারে নিজেই খোলসা করলেন। মিথ্যের পর মিথ্যে বলতেন তিনি মা-বাবার নামে।
একবার টিনি কেমিস্ট্রি ল্যাবের জিনিসপত্র ভেঙে ফেলেছিলেন। টিচার তাঁকে মারতে এলেই তিনি কেঁদে ফেলতেন। আর বলতেন তাঁকে কেউ ভালোবাসে না।
বাড়িতে সারাক্ষণ তাঁকে মারা হয়। মা-বাবা ভালো বাসে না। টিচার তো মায়ের মত। তিনিও কি তাঁকে এভাবেই মেরে কষ্ট দেবেন।
মুহূর্তে গোলে যেতেন চিটার। তারপর থেকে কিং খান কোনও ভুল করলেই তিনি বলতেন আমি তো তোমার মায়ের মতো, বুঝিয়ে বলছি দুষ্টুমি করো না।
তাঁকে কেউ বোকার আগেই কিং খান কেঁদে ফেলতেন। আর মুখ লুকিয়ে নিতেন। সকলে ভাবত তিনি জোরে জোরে কাঁদছেন। কিন্তু তিনি মুখ লুকিয়ে হাঁসতেন, যা কেউ বুঝতেই পারত না।