দাগী আসামীরাই সঙ্গী, বদ্ধ কুটুরিতেই ঠাঁই হয়েছিল রিয়ার, আবারও যেতে হবে না তো 'বাইকুল্লা' জেলে

কেটে গেল গোটা একটা বছর। সুশান্তের মৃত্যু সকলকে নাড়িয়ে দিলেও মিলল না সুবিচার, পুলিশি জালে ধরা পড়ল না আসল দোষীরা। 
 

সুশান্তের মৃত্যুর খবরে আজও উত্তাল অনুরাগীরা থেকে সোশ্যাল মিডিয়া। সত্যিটা জানার জন্য এখনও অধীর আগ্রহে বসে পরিবার থেকে অনুরাগীর। 

সুশান্ত মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীকে নিজে আজও সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। কোনওভাবেই যেন তাকে সহ্য করতে পারছেন না সুশান্ত ভক্তরা।

হাজার চেষ্টা করেও শেষরক্ষা হয় নি । সমস্ত প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছিল সুশান্তের প্রেমিকা রিয়ার।  জামিন না পেয়ে সুশান্ত মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়ার  ঠিকানা হয়েছিল বাইকুল্লা জেলে।

এনসিবি-র জেরায় গ্রেফতার হয়েছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। ৫০ জন দাগী আসামীদের মধ্যেই  বাইকুল্লা জেলের বদ্ধ কুটুরিতে ছিলেন রিয়া।

সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে রিয়া চক্রবর্তীর গভীর সংযোগ থাকলেও আপাতত জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বলি নায়িকা। তারপরও বারংবারই একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে রিয়া চক্রবর্তীকে।

সুশান্তের দোষীরা ধরা পড়লে আবার ফিরতে হবে না তো বাইকুল্লা জেলের সেই বদ্ধ কুটুরিতে। এই প্রশ্নের মুখে বারবার পড়তে হচ্ছে রিয়া চক্রবর্তীকে।

মুম্বই পুলিশ,বিহার পুলিশ, ইডি, সিবিআই-এর পর সুশান্তের মৃত্যু মামলা খতিয়ে দেখতে তদন্তভার নিয়েছিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এনডিপিএস আইনের আওতায় ৮, ২০, ২৭,২৮, ২৯ নম্বর ধারায় রিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

 শুধু ড্রাগ সেবন নয়, ড্রাগ পাচার এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ড্রাগ আদান-প্রদানেরও অভিযোগ উঠেছিল রিয়া ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। একাধিকবার এনসিবি-র জেরার মুখে পড়েই  মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেছেন অভিনেত্রী রিয়া।

গত একবছর ধরে বলিউডে থেকে অনেক দূরে ছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। খুন, মাদক এই সবের মূল পান্ডাই ছিলেন রিয়া। যার কারণে নেটদুনিয়ায় ব্যাপর রোষের মুখেও পড়েছিলেন নায়িকা।

জেল থেকে ছাড়া পেয়েই ফের নাকি বলিউডে ফিরতে চলেছেন রিয়া। চলতি বছরের তৈরি হতে পারে কলিযুগের মহাভারক। সেখানেই নাকি দ্রৌপদীর চরিত্রে দেখা যাবে রিয়াক। তবে দর্শক কতটা রিয়াকে মেনে নেবে তা নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ রয়েছে।