আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ রিয়ার বিরুদ্ধে, বিশদে দেখুন সেই এফআইআর

পাটনার সেন্ট্রাল জোনের ইন্সপেক্টর সঞ্জয় সিং জানিয়েছেন, রিয়ার চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন সুশান্তের বাবা। শারীরিক অসুস্থতার কারণে মু্ম্বই এসে মামলা দায়ের করতে পারেননি তিনি। 

সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকে তাঁর বাবার শারীরিক অবস্থা তেমন ভাল না, যার জেরে হওয়ায় মুম্বই গিয়ে মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গিয়েছে।  

ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী, ৩৪০, ৩৪২, ৩৮০, ৪০৬, ৪২০, ৩০৬ ধারায় পাটনায় মামলা দায়ের হয়েছে রিয়ার বিরুদ্ধে। পূর্বে জানা যায়, সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন অভিনেতার একটি কোম্পানির মালিকানা তাঁরই নামে ছিল।

যার মাধ্যমে একাধিক টাকার নয়ছয় করেন রিয়া এবং তাঁর ভাই সৌভিক। সুশান্তের থেকে একাধিক টাকা আদায় করা এবং অভিনেতার টাকায় ফূর্তি করার অভিযোগ তোলা হয়েছে মামলায়। 
 

রিয়ার পাশাপাশি সুশান্তের আরও পাচজন বন্ধুর বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছেন কে কে সিং। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া, জালিয়াতি এবং চক্রান্ত, এই অভিযোগে মামলা করা হয়েছে সুশান্তের পাঁচ বন্ধুর বিরুদ্ধে। 

সোমবার বিহার পুলিশের স্মরণাপন্ন হয় সুশান্তের পরিবার। জানা যাচ্ছে, বিহার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজন সদস্যকে মুম্বই পাঠিয়েছে তদন্তের জন্য।

মুম্বইতে এই বিশেষ টিম রিয়াকে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রায় ২০ দিন আগে মুম্বই পুলিশ রিয়াকে ৮ থেকে ৯ ঘন্টা জেরা করে। 

রিয়া সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্কের কথা পূর্বে অস্বীকার করেছিলেন, পরে জেরায় নিজেদের বিয়ের কথাও খোলসা করেন তিনি। রিয়া সুশান্তের মৃত্যুর এক মাস পর থেকেই সিবিআই তদন্ত নিয়ে অমিত শাহকে সোশ্যাল মিডিয়ায় চিঠি লেখেন। 

তাতেও তাঁর বিরুদ্ধে মানুষের ঘৃণা এক ফোঁটাও কমেনি। সুশান্ত ভক্তরা বরাবরই চেয়ে এসেছে রিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিক সুশান্তের পরিবার। অবশেষে তেমনটাই ঘটল। 

সূত্রের খবর, সুশান্তের পরিবারের সুশান্তের মানসিক অবসাদের যুক্তি মানতে নারাজ। সুশান্তের পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী, তাঁরা সুশান্তের মানসিক অবসাদের বিষয় কিছুই জানতেন না। 

তাঁর কোনও মানসিক সমস্যা ছিল বলেও তাঁদের মনে হয় না। একাধিক মানুষ সুশান্তকে মানিসক অবসাদ ভুগছে বলে দাবি করে, এই বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি তাঁর পরিবার।