'এমন চেহারায় টাইট গাউন পরে কেউ চলচ্চিত্র উৎসবে আসে', বডিশেমিংয়ের তোপে ঐশ্বর্য
পাব্লিক ফিগার মানেই ক্যামেরার সামনে হরদম পারফেক্ট থাকা। সিনেদুনিয়ার নায়ক নায়িকা হলে তো প্রতিটি অ্যাঙ্গেলের কথা মাথায় রাখতে হয়। এদিক থেকে ছবি তুললে ছবিটা খারাপ আসবে কিনা, এই পোশাকে ছবিতে ভাল লাগবে কিনা, অতিরিক্ত মেকআপ হয়ে গেলে ট্রোল হওয়ার আশঙ্কা। এই ধরনের নানা চিন্তা নিয়েই কাটে সেলেব্রিটিদের জীবন। চুন থেকে পান খসলেই শোরগোল পড়ে নেটদুনিয়ায়। তেমনই ঐশ্বর্য রাই বচ্চন শিকার হয়েছিলেন বডিশেমিংয়ের। যা ট্রোলিংয়ের একটি বড় অংশ।
Adrika Das | Published : Apr 6, 2020 7:28 AM IST / Updated: Apr 06 2020, 01:01 PM IST
আরাধ্যা হওয়ার পর বেশ খানিকটা ওয়েট পুট অন করেছিলেন তিনি। যেকোনও মহিলাই প্রেগনেন্সির পর কমবেশি ওয়েট পুট অন করেনই।
তবে ঐশ্বর্য পাব্লিক ফিগার বলে কথা, তাঁকে কি আর ওজন বাড়ালে চলে, তাঁকে সবসময় সুন্দর চেহারাতেই থাকতে হবে। এমনই মন্তব্য করে নিচু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছিল অনেকেই।
ক্যান চলচ্চিত্র উৎসবে গাউন পরা তাঁর ছবি রীতিমত ভাইরাল হতে থাকে। সেখানে নেটিজেনর তাঁকে বডিশেম করার একটি সুযোগও ছাড়েনি।
পুরো বিষয়টি কেটে যাওয়ার পর ঐশ্বর্য মুখ খোলেন। তিনি জানান, "জীবনে চলার পথে সবসময়ই কেউ না কেউ জাজমেন্ট পাস করবে। তার উপর পাব্লিক ফিগার হলে তো আমাদের আরও চোখে চোখে রাখে মানুষ। এক পা এগিয়ে গেলেও কুমন্তব্য, পিছিয়ে গেলেও তাই।"
তিনি আরও বলেন, এই ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে থেকেই সকলের জাজমেন্ট শুনে এসেছেন। কেবল মা হওয়ার পরই নয়, নানা বিষয় কুমন্তব্য শুনে আসতে হয়েছে।
ঐশ্বর্যের কথায়, "আমি আর এসব মন্তব্যে পাত্তা দিই না। যাদের বলার তারা বলেই যাবে। আমি নিজের সঠিক পথে এগিয়ে যাব।"
নায়িকার এই জবাবে ট্রোলের সংখ্যা খানিক কমেছিল বইকি। যদিও এ বিষয় তাঁর ভক্তরা চিরকাল পাশে ছিল।
ঐশ্বর্য-ভক্তরাই ট্রোলারদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছিল পাল্টা জবাবে। তাদের প্রতিবাদও ঐশ্বর্যের বডিশেমিং বন্ধ হওয়ার এক প্রধান কারণ ছিল।