ইউরোপ জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ। প্রতিটি দেশেই বাড়ছে সংক্রমণ। এই অবস্থায় করোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভের নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফের একাধিক নির্দেশিকা জারি করলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
Asianet News Bangla | Published : Sep 23, 2020 6:04 AM IST / Updated: Sep 23 2020, 12:21 PM IST
দীর্ঘ লকডাউনের পরও করোনাকে কিছুতেই কাবু করা যাচ্ছে না। লকডাউন উঠিয়ে দিলেই ফের শুরু হচ্ছে মারণ ভাইরাসের তাণ্ডবলীলা। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার লকডাউনের পথে যাওয়ার কথা ভাবছে ব্রিটেন।
ভ্যাকসিন আসতে এখনও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। এই অবস্থায় করোনা ভাইরাসেরসংক্রমণ নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে ব্রিটেনে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন স্বয়ং সেকথা জানিয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন করে রণকৌশল ঠিক করতে হচ্ছে ব্রিটেনকে।
এই অবস্থায় করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী ৬ মাস বেশ কিছু বিধি নিষেধ জারি করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ফের একবার কর্মীদের ওয়র্ক ফ্রম হোম মোডে ফিরে যাওয়ার কথা বলেছেন তিনি। পাশাপাশি, পাব, বার ও রেস্তোরাঁর উপরেও জারি করেছেন নতুন নিষেধাজ্ঞা।
সব বার, রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনই লকডাউনের পথে হাঁটবে না ব্রিটেন বলেই জানিয়েছেন বরিস। জাতির উদ্দেশে বরিস জনসনের ভাষণের বিবৃতির একাংশে লেখা রয়েছে, ' জানি সহজ নয়! কিন্তু করোনার প্রকোপ রুখতে এই পদক্ষেপ করতেই হবে!'
করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভে আর ভয়ঙ্কর হতে পারে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে। তারপরেই সতর্কতা নিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। লকডাউনের পথে না হাঁটলেও পরে যদি সংক্রমণ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে তাহলে ফের লকডাউনের পথে হাঁটতে হতে পারে দেশকে এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।
কিছুদিন নিয়ন্ত্রণে থাকার পর ফের প্রতিদিন ৬ হাজার করে করোনা সংক্রমিতের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে ব্রিটেনে। বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। প্রতি আটদিনে সেই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ আগেই অফিসে ফেরার অনুমতি দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে ফের ওয়র্ক ফ্রম হোম পদ্ধতিতেই ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন জনসন।
এদিকে ইতালিতেও এসে গিয়েছে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ। সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় আবারো নতুন করে চিন্তিত দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
ইতোমধ্যে দেশটির বিশেষজ্ঞরা জরুরী অবস্থার সময়সীমা ১৫ অক্টোবর থেকে বাড়িয়ে চলতি বছরের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করার উপদেশ দিয়েছেন। তবে নতুন করে আবারো লকডাউনে না যাবার কথাও বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইতালির অর্থনীতিকে পুনরায় চাঙ্গা করতে নতুন করে লকডাউনে যাবার কোন সুযোগ নেই। নতুন করে পুরো ইতালিকে লকডাউন করা হলে অর্থনৈতিকভাবে চরম মূল্য দিতে হবে দেশটিকে। তাই নতুন করে লকডাউনে না যেয়ে ভিন্নভাবে করোনা মোকাবিলা করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ দেশটির সরকারের।