আর্ন্টাটিকা সফর অধরা, বিলাসতরীর ৬০ শতাংশ যাত্রী করোনায় আক্রান্ত
আরও একটি বিলাসবহুল তরীতে মিলল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সন্ধান। বিলাসতরীরে ২১৭ জন যাত্রীর মধ্যে ১২৮ জন যাত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। মন্টিভিডিও দ্বীপে বিলাসতরী নোঙ্গর করা হয়। উরুগুয়ে সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে যাত্রীদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যেকোনও বিমানেই যাত্রীদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। মূলত অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার যাত্রীরা ছিল এই বিলাসতরীরে। তাঁদের গন্তব্য ছিল অ্যর্ন্টাটিকা। গত ২১ মার্চ যাত্রা শুরু করেছিল এই বিলাসতরী।
Asianet News Bangla | Published : Apr 9, 2020 8:48 AM IST / Updated: Apr 09 2020, 04:10 PM IST
আর্ন্টাটিকাগামী বিলাসতরী গ্রেগ মার্টিমার। ২১৭ জন যাত্রী নিয়ে আর্ন্টাটিকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল। অস্ট্রিলিয়া, ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যাত্রীরাই ছিল এই বিলাসতরীতে।
জাহাজের প্রায় ৬০ শতাংশ যাত্রী করোনভাইরাসে আক্রান্ত। ২১৭ জন যাত্রীর মধ্যে করোনাভাইরাসের নমুনা পাওয়া গেছে ১২৮ জন যাত্রীর শরীরে।
প্রথম দিকে যাত্রীদের অধিকাংশই আর্ন্টাটিকা সফরের উদ্দেশ্যে যাত্রা চালিয়ে যাওয়ার বিযয়ে আশাবাদী ছিলেন। ৫ যাত্রীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় মাঝ পথেই থামতে হয় গ্রেগ মার্টিমারকে।
উরুগুয়ের মন্টিভিডিও দ্বীপে বিলাসতরীর নোঙ্গর করা হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতা ও প্রবল সাবধানতা অবলম্বন করে খালি করা হয় বিলাসতরী।
যেসব যাত্রীর অবস্থা সংকটজনক তাঁদের ভর্তিকরা হয় হাসপাতালে। বাকিদের তড়িঘড়ি রওনা করিয়ে দেওয়া হয় বাড়ির উদ্দেশ্যে।
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের যাত্রীদের জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়। তবে এক দম্পতির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ভর্তি করা হয় উরুগুয়ের হাসপাতালে।
গত ২১ মার্চ এই বিলাসতরী ছাড়ে। আর্ন্টাটিকা, আইসল্যান্ড ও এলিফ্যান্ট আইল্যান্ড সফরের উদ্দেশ্যে।
এর আগে মার্চে বিট্রেনের একটি বিলাসতরীকে তাদের বন্দরে নোঙ্গর করার অনুমতি দিয়েছিল কিউবা। ওই বিলাশতরীরে ৫ যাত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিল।
অসময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে গ্রেগ মার্টিমারের যাত্রীদের কাছে রীতিমত ত্রাতার ভূমিকায় উরুগুয়ে সরকারও।
গ্রেগ মার্টিমারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে উরুগুয়ে সরকার চিকিৎসা ও কোয়ারেন্টাইনের সমস্ত সুবিধে সম্পন্ন একটি বিমানের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল বাকি যাত্রীদের জন্য।