ষষ্ঠবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় বায়ার্ন মিউনিখের, লড়াই করে হার পিএসজির

অবশেষে অপ্রতিরোধ্যই রইল বায়ার্না মিউনিখ।  লিসবনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে নেইমার, এমব্যাপেদের পিএসজিকে ১-০ গেল হারিয়ে ষষ্ঠবারের জন্য ইউরোপ সেরার শিরোপা ঘরে তুলল মুলার, লেওনডস্কি, নয়্যাররা। একইসঙ্গে চলতি মরশুমে ট্রফি জয়ের ত্রিমুকুট জয় করল বায়ার্ন মিউনিখ।  বুন্দেশলিগা ও ডিএফবি-পোকালের পর এবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে মরশুম শেষ কর হ্যান্স ফ্লিকের দল।
 

Sudip Paul | Published : Aug 24, 2020 3:32 AM IST

111
ষষ্ঠবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় বায়ার্ন মিউনিখের, লড়াই করে হার পিএসজির

লিসবনে ফাইনালের প্রথমার্ধে টানটান উত্তেজনার মধ্যেই শুরু হয় খেলা। রক্ষণ সামলে আক্রমণে যাচ্ছি দুই দুলই। কিন্তু ম্যাচের প্রথমার্ধে দুটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল নেইমার, এমব্যাপে, দি মারিয়ারা। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়য় তারা।
 

211

কিন্তু তেকাঠির নীচে ম্যানুয়েল নয়্যার নামক অতিমানব দাঁড়ালে ওরকম অনেক হিসেব-নিকেশ ওলট-পালট হয়ে যেতে বাধ্য। বায়ার্ন ডিফেন্সকে ভাঙতে পারলেও নয়্যার নামক প্রাচীর ভেদ করতে পারেনি পিএসজির অ্যাটাকিং লাইন।
 

311

প্রথমার্ধে পিএসজি বেশি সুযোগ পেলেও, সুযোগ এসছিল লায়ার্নের কাছেও গোল করার। কিন্তু লেওনডস্কিরা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। ফলে লিসবনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে।
 

411

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের মাত্রা বাড়ায় বায়ার্ন মিউনিখ। ৫৯ মিনিটে পিএসজির লেফ্ট ব্যাকের জায়গা থেকে ঠিকানা লেখা লম্বা বল ছ’গজ বক্সে কোমানের উদ্দেশে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন বায়ার্নের জোশুয়া খিমিচ। পিএসজি রক্ষণে অরক্ষিত থাকা কোমান অবলীলায় সেই বলে মাথা ছুঁইয়ে তা জড়িয়ে দেন পিএসজি-র জালে। 

511

গোল খেয়ে দমে যাননি নেইমার, এমব্যাপেদের পিএসজি। একের পর এক আক্রমণ তুলে আনলেও গোল করতে ব্যর্থ হন তারা। শেষের দিকে পিএসজির মাঝ মাঠ ঠিকঠাক কাজ না করায় সেভাবে আর আক্রমণ দানা বাধেনি।
 

611

এদিন গোল করার পর কিছুটা রক্ষণাত্বক ফুটবলও খেলে। মেগা ফাইনালে বায়ার্নের সেই প্রেসিং ফুটবল খুব একটা দেখা যায়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফ্লিকের মগজাস্ত্রের কাছে হার মানতে হয় টাচেলকে।
 

711

ফাইনাল জয়ের পর বায়ার্নের উচ্ছাস ছিল নজর কাড়ার মত। ষষ্ঠবার ইউরোপ সেরা হয়ে উৎসবে মেতে ওঠে গোটা বায়ার্ন দল। সমর্থকদের উদ্দেশ্য়ে এই জয় উৎসর্গ করে দলের সমস্ত প্লেয়াররা।
 

811

যার জন্য কার্যত এই মরসুমে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। সেই কোচ হান্স ফ্লিককে নিয়ে উচ্ছাসে মাতেন প্লেয়াররা। ফ্লিকের কোচিং গোটা মরসুম জুড়ে যে ফুটবল খেলেছে বায়ার্ন তা এককথায় অনবদ্য বলে জানান ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।
 

911

অঘটন ঘটাতে চেয়েছিল পিএসজি। ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাতে চেয়েছিল নেইমার, এমব্যাপেরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা না হওয়ায় হতাশায় ভেঙে পড়েন নেইমার সহ অন্যান্য প্লেয়াররা।

1011

ম্যাচ জয়ের পর ফটো সেশনে মাতেন বায়ার্নের ফুটবলররা। ট্রফি নিয়ে চলে নানা রকম পোজে ফটো তোলা। তবে ম্যাচে সমর্থকদের অভাব বোধ করেছেন বায়ার্না প্লেয়াররা।

1111


এই নিয়ে মোট ৬ বার ইউরোপ সেরার তমকা আদায় করে নেয় বুন্দেশলিগা চ্যাম্পিয়নরা। ৯৭৫, ৭৬ ও ৭৭ সালে পর পর তিনবার ইউরোপ সেরা হয় বায়ার্ন। নতুন শতকে প্রথমবার তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতে ২০০১ সালে। শেষবার তারা ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জিতেছিল জার্মানির ক্লাবটি। 
 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos