মরসুমের শুরুতে এই দলটাকেই একেবারেই অগাছোলা দেখাচ্ছিল। কিন্তু থমাস টুসেল কোচ হয়ে আসার পর থেকেই বদলে যায় চেলসির চেহারা। আর মরসুম শেষে ইউরোপ সেরা ক্লাবের তকমা পেয়ে গেল ইপিএল জায়েন্টরা। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে অপর ইপিএল জায়েন্ট ও এই মরসুমের ইপিএল চ্যাম্পিয়ন ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বার ট্রফি ঘরে তুলল চেলসি।
জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্তুগালের পোর্তোর এস্তাদিও ডো ড্র্যাগো স্টেডিয়ামে শুরু হয় খেলা। খেলার শুরুতে মাঠে আতসবাজির রোশনাই ছিল চোখ ধাঁধানো।
করোনা আবহ হলেও কোভিড বিধি মেনে এদিন মাঠে দর্শকদের সামনে হল চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল। উপস্থিত ছিলেন ১৪ হাজার ১১০ জন দর্শক। দুই দলের সমর্থকরা উপভোগ করলেন ম্য়াচ।
ম্য়াচের শুরু থেকেই রক্ষণ সামলে আক্রমণে যাওয়ার রণকৌশল নেয় দুই দল। ম্যাচের শুরুতে ১৩ মিনিটের মাথায় গোল পেয়ে যেতে পারতো চেলসি। গোলের সামনে সিটির গোলরক্ষক এডেরসন মোরেসকে একা পেয়েও জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন টিমো ওয়ার্নার।
ম্যাচের ৪২ মিনিটে চেলসির হয়ে একামাত্র জয়সূচক গোলটি করেন কাই হাভার্টজ। মেসন মাউন্টেপ পাস থেকে হাভার্টজ সিটির গোলরক্ষককে টপকে ফাঁকা গোলে বল ঠেলে দেন।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের মাত্রা বাড়ায় পেপ গুয়ার্দিওয়ালার দল। একের পর এক আক্রমণ করেও চেলসির রক্ষণ ভাঙতে সমর্থ হননি গ্যাব্রিয়াল জেসুস, ফার্নান্ডিনহো, সের্জিও আগুয়েরোরা।
ম্যাচ শেষের বাশি বাজতেই আনন্দে উল্লাসে মেতে ওঠেন চেলসির প্লেয়াররা। ২০১২ সালের শেষবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল চেলসি। তারপর ২০২১ সালে ফের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চেলসির দখলে।
ইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ইউরোপ সেরা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল ম্যান সিটি। কিন্তু ফাইনালে একেবারে তীরে এসে তরী ডোবায় হতাশায় ভেঙে পড়েন সিটির প্লেয়াররা।
চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে হারের রেকর্ড ছিল না পেপ গুয়ার্দিওয়ালার কেরিয়ারে। প্রথম বার চ্যাম্পিন্স লিগের ফাইনালে হারলেন গুয়ার্দিওলা। তাই হতাশ দেখায় তাকেও।
অপরদিকে ঠিক উল্টো ছবি। দলকে ইউরোপ সেরা করতে পেরে খুশি চেলসি কোচ থমাস টুসেল। ট্রফি নিয়ে মাঠেই বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠেন তিনি। তার আবেগ ছিল চোখে পড়ার মত।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ইউরোপ সেরা হওয়ার অনুভূতিটাই যে আলাদা। তাই চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি নিয়ে চেলসি প্লেয়ারদের উচ্ছাস, উন্মাদনা ছিল আকাশ ছোয়া।
মাঠে দল চ্যাম্পিয়ন হতেই, ইংল্যান্ডে বাঁধ ভাঙা উচ্ছাসে মেতে ওঠেন চেলসি সমর্থকরা। সারা রাতভর রাস্তায় চলে হাজারো হাজারো চেলসি সমর্থকদের বিজয় উল্লাস।
উৎসবের মেজাজে গোটা চেলসি দলও। কোভিডের কারণে সেভাবে বাইরে বেরোতে না পারলেও, নিজেদের মধ্যেই চলে বিজয় উৎসব।