জন্মদিনে জেনে নিন মেসির এমন কিছু রেকর্ড, যা ভাঙা একপ্রকার অসম্ভব
৩৩-এ পা দিলেন লিওনেল মেসি। শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসলেন আধুনিক ফুটবলের যাদুকর। জন্মদিনে দেখে নেওয়া যাক ফুটবল মহাতারকার এমন কিছু রেকর্ড যা ফুটবল ইতিহাসে রয়ে যাবে চিরকাল।
ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনার হয়ে ৩২টি শিরোপা জিতেছেন লিও মেসি। ১০ টি লা লিগা, ৬টি কোপা দেল রে, চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ৩টি ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছেন বর্তমানে বার্সা অধিনায়ক।
দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের কেরিয়ারে বার্সেলোনার হয়ে ৪৭৮টি ম্যাচে ৪৪০টি গোল করেছেন লিওনেল মেসি। যা বার্সেলোনা ও লা লিগার ইতিহাসে এক অনন্য রেকর্ড।
লা লিগার ইতিহাসে এক মরসুমে সর্বোচ্চ ৫০টি গোল, ইউরোপীয় ফুটবলের ইতিহাসে এক মরসুমে ৭৩টি গোল ও এক ফুটবল মরসুমের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৯১টি গোলের রেকর্ড রয়েছে মেসির দখলে।
বার্সেলোনা বনাম রিয়াল মাদ্রিদ চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। এই দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে অর্থাৎ এল ক্লাসিকোয় ব্যক্তিগত সর্বাধিক ২৬টি গোলের নজির রয়েছে মেসির দখলে।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন এলএমটেন। একটি, দুটি নয় চ্যাম্পিয়নস লিগে মেসি করেছেন আটটি হ্যাটট্রিক। যেই রেকর্ড ভাঙা অসম্ভব প্রায়।
এক সপ্তাহে করা গোলের নিরিখেও শীর্ষে রয়েছে লিওনেল মেসির নাম। ২০১০ সালে এক সপ্তাহে ১০টি গোল করেন আধুনিক ফুটবলের যাদুকর। যেই রেকর্ড এখনও অটুট।
একটানা ম্যাচে গোল করার নজিরও রয়েথে মেসির দখলে। টানা ২১ ম্যাচে গোল করে বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন মেসি। টানা ২১ ম্যাচে তার গোল সংখ্যা ৩৩টি।
ফুটবল ইতিহাসে সব থেকে বেশি মোট ৬ বার ব্যালন ডি অর জেতার নজির রয়েছে মসির দখলে। একইসঙ্গে টানা ১১ বার ব্যালন ডি অরের জন্য মনোনীত হয়েও রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন মেসি।
সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসাবে ৩ বার ব্যালন ডি'অর পুরস্কার জয় করেন মেসি। মাত্র ২৪ বছর, ৬ মাস এবং১৭ দিন বয়সের মধ্যেই তিন তিনবার ব্যালন ডি অর জিতে ফেলছিলেন মেসি।
আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসেও সর্বোচ্চ গোল দাতা মেসি। ১৬১টি ম্যাচে করেছেন ৮৬টি গোল। এছাড়া অলিম্পিকেও দেশকে স্বর্ণপদক দিয়েছেন মেসি। ২০১৪ বিশ্বকাপে তার অধিনায়কত্বেই রানার্সআপ হয় আর্জেন্টিনা। এছাড়াও মেসির অসংখ্য রেকর্ড রয়েছে যা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে ফুটবল ইতিহাসে।