রইল ১০ জন সেরা মহিলা ব্যক্তিত্বের খোঁজ, যাদের সাফল্য প্রতি মুহূর্তে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে চলেছে

একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও পিছিয়ে নেই ভারতীয় মহিলারা। অবনি চতুর্বেদী থেকে হিমা দাস- এমন একাধিক মহিলা সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করেছেন দেশের নাম। ক্রীড়া জগত থেকে সমাজ সংস্কারের কাজ এমনকী বিজ্ঞান জগতে নিজেদের সৃষ্টি রেখে গিয়েছেন এই সকল মহিলারা। আজ রইল ১০ জন মহিলার কথা। যাদের কাজ প্রতি মুহূর্তে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে চলেছে সকলকে। তাঁদের সাফল্য এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে সকলকে। তালিকায় যেমন আছে অবনি চতুর্বেদী, দীপা মালিক, ঝুলন গোস্বামীর মতো মহিলারা, তেমনই আছেন ৫৫ বছরের শান্তি দেবী। যিনি ট্রাক মেকানিক হিসেবে নজির গড়েন। এক ঝলকে দেখে নিন তালিকা। সেরা ১০ জন মহিলা, যাঁরা প্রতি মুহূর্তে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন সকলকে। 

Sayanita Chakraborty | Published : Aug 10, 2022 5:44 AM IST / Updated: Aug 10 2022, 01:20 PM IST
110
রইল ১০ জন সেরা মহিলা ব্যক্তিত্বের খোঁজ, যাদের সাফল্য প্রতি মুহূর্তে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে চলেছে

এই তালিকায় আছেন অবনি চতুর্বেদী। ভারতের প্রথম মহিলা Fighter Pilot নামে তিনি বেশি পরিচিত। মধ্যপ্রদেশের বেরা জেলার বাসিন্দা অবনি মাত্র ২২ বছর বয়সে হায়দরাবাদের এয়ার ফোর্স একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ নেন। প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে তিনি একা একটি ফাইটার জেট চালানোর নজির সৃষ্টি করেছিলেন মাত্রা ২৪ বছর বয়সে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইজরায়েলের পাশাপাশি যে ভারতীয় মহিলা পাইলটরাও পিছিয়ে নেই তিনি তা প্রমাণ করেন। 

210

দীপা মালিক ভারতীয় ক্রীড়া জগতে এক বিশেষ নজির তৈরি করেন। ২০১৬ সালে শট পাট বিভাগে রূপো জিতে তিনি প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে প্যারালিম্পিক গেমসে পদক পান। ১৯৭০ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একদিকে দুই কন্যার মা অন্যদিকে প্যারালিম্পিক্সে প্রথম পদকজয়ী মহিলা অ্যাথলিট সঙ্গে তিনি প্যারালিম্পিক্স কমিটি অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি। 

310

ভারতীয় আর্টিস্টিক বা শৈল্পিক জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারকে সকলেই চেনে। তিনি প্রতি মুহূর্তে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন সকলকে। তিনি ২০১৪ সালে কমনওয়েলথ গেমসে প্রথম ভারতীয় জিমন্যাস্ট হিসেবে পদক পান। এছাড়া, ২০১৫ সালে ওয়ার্ল্ড আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক চ্যাম্পিয়নশিপে পঞ্চম স্থান পান। তিনি ২০১৭ সালে ভারত সরকারের পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন। 

410

হিমা দাস প্রথম ভারতীয় অ্যাথলিট যিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ট্র্যাক ইভেন্টে সোনা জেতেন। তিনি ২০১৮ সালের অনূর্ধ্ব ২০ জুনিয়ার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, ফিনল্যান্ডের ট্যামপেয়ারে, মহিলাদের ৪০০ মিটারে স্বর্ণ পদক জয় করেন। তিনি এশিয়ান গেমসে ৪০০ মিটারে রূপো পদক ও মিশ্র রিলেতে স্বর্ণ পদক জয় করেন। ভারতীয় ক্রীড়া জগতে তিনি এক নজির তৈরি করেছেন। 

510

এই তালিকায় আছেন দীপিকা কুমারী। তিনি ভারতীয় মহিলা তীরন্দাজ। তিনি বিশ্ব Ranking -এ পঞ্চম স্থানে রয়েছেন। ২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমসে তিনি মহিলাদের ব্যক্তিগত ইভেন্টে স্বর্ণপদক জয় করেন। দীপিকা দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে মেক্সিকোর মেরিডায়ে অনুষ্ঠিত ২০০৬ আর্চারি বিশ্বকাপের জুনিয়র কম্পাউন্ড প্রতিযোগিতায় জয় পান। ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ১১তম যুব বিশ্ব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণ পদক জয় করেন। 

610

বিখ্যাত লেখক সুধা মূর্তির কথা না বলে হয় না। তিনি একজন ভারতীয় প্রকৌশল শিক্ষক ও কন্নড় ও ইংরেজি ভাষায় একাধিক বই লিখেছেন। কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও তার পেশাগত হিসেবে জীবন শুরু করেন তিনি। তারপর ১৯৯৬ সালে তিনি ইনফোসিস ফাউন্ডেশন শুরু করেন। তিনি দুটি ভ্রমণ কাহিনি, দুটি কারিগরি বই, ছয়টি উপন্যাস ও তিনটি শিক্ষামূলক বই লিখেছেন। এছাড়া একাধিক সমাজসেবা মূলক কাজে যুক্ত হন তিনি। 

710

ঝুলন গোস্বামী হলেন একজন অল রাইন্ডার ক্রিকেটার যিনি ভারতের জাতীয় মহিলা ক্রিকেটের দল, বেঙ্গল ওমেন, ইস্ট জোন ওমেন ও এশিয়ান উমেন এলেভেন দলের হয়ে ক্রিকেট খেলেন। দেশের অন্যতম সেরা মেয়ের তালিকায় স্থান পান তিনি। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এমন সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছানোর পথ এত সহজ ছিল না। তবে, তিনি সকল প্রতিবন্ধকতা পার করেন। 

810

কে কে শৈলজা রয়েছেন এই সেরা মেয়েরা তালিকায়। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধের কর্যকলার পকিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক প্রশংসা পেয়েছেন। তিনি ১৫ তম কেরালা বিধানসবার মাত্তানুর কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্বকারী বিধানসভার সদস্য হিসেবে কাজ করেন। তিনি নিজের কাজের জন্য সিইইউ ওপেন সোসাইটি পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়াও ২০২১ সালে কেরালা বিধানসভা নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় লাভ করেন। 

910

দেশের প্রথম মহিলা ট্রাক মেকানিক হয়ে নজির গড়েন শান্তি দেবী। স্বামীর কাছে গাড়ির মেরামতির হাতেখড়ি হয় তাঁর। এখন তিনি দিনে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০টি গাড়ির টায়ার সারান। এতেই থেমে নেই, তিনি বড় ট্রাক মেরামতির কাজও করেন। ৫৫ বছরের এই মহিলা শুধু আত্মবিশ্বাসের জোড়ে এগিয়ে চলেছেন। তাঁর কঠিন পরিশ্রম সকলের নজর কেড়েছে। 

1010

টেসি থমাস হলেন প্রথম মহিলা বিজ্ঞানী যিনি ভারতে ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রক্ষা অনুসন্ধান ও বিকাশ সংগঠন অগ্নি -৪ ও অগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পে অধিকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। তিনি ২০১২ সালে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে ভারতকে আত্ম নির্ভরশীল করার ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য অভদান রাখেন। তিনি লাল বাহাদুর শাস্ত্রী জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন।  

Read more Photos on
Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos