শুধু জল দিয়েই মারা যাবে করোনা, আইসিএমআর-এ অনুমোদন পেল বাঙালি উদ্ভাবকের দুর্দান্ত প্রযুক্তি

ভারতে এবং সেইসঙ্গে সারা বিশ্বেই এখন খুব দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। এখনও অবধি রাশিয়া ছাড়া আর কোনও দেশ ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শেষ করে উঠতে পারেনি, তবে তাদের টিকার কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক আছে। এরমধ্যে একটি দারুণ সুখবর এল ভারত থেকেই। এইমস এবং আইআইটির দুই প্রাক্তনীর হাতে তৈরি হল এমন এক প্রযুক্তি যার মাধ্যমে শুধুমাত্র জলের সাহায্যেই নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া যাবে করোনাভাইরাস-কে। সাধারণ কলের জলই হয়ে উঠবে অ্যান্টিভাইরাল।

amartya lahiri | Published : Aug 22, 2020 10:11 AM IST / Updated: Aug 27 2020, 11:48 PM IST

17
শুধু জল দিয়েই মারা যাবে করোনা, আইসিএমআর-এ অনুমোদন পেল বাঙালি উদ্ভাবকের দুর্দান্ত প্রযুক্তি

আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োডিজাইন ইনোভেশন (জৈবনকশা উদ্ভাবন) বিভাগের গবেষক দেবায়ন সাহা, আইআইটি-র প্রাক্তন ছাত্র। বাঙালী এই গবেষককে সাহায্য করেছেন সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভারসিটির গবেষক ডাক্তার শশীরঞ্জন, তিনি দিল্লি এইমস-এর প্রাক্তনী। এই দুই উদ্ভাবকের তৈরি সংস্থা 'পারসেপিয়েন ইনোভেশনস প্রাইভেট লিমিটেড'। দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখাটাই ছিল তাঁদের স্বপ্ন।

27

অবশেষে তাঁদের সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে। সম্প্রতি আইসিএমআর করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তাঁদের তৈরি প্রযুক্তি 'এয়ারলেন্স মাইনাস করোনা'-কে অনুমোদন দিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা এই প্রযুক্তিটি কোনও রাসায়নিক বা কোনও বিকিরণের ব্যবহার নেই। আর এটি ভারতে তৈরি একমাত্র প্রযুক্তি যা মার্কিন এফডিএর নির্দেশিকা অনুসরণ করে। কাজেই মানুষ বা পশুর ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য একেবারে সুরক্ষিত।

37

তাঁরা জানিয়েছেন এই প্রযুক্তির বিকাশে তাঁরা একেবারে মৌলিক পদার্থবিজ্ঞান ব্যবহার করে আমরা জলের অনন্য বৈশিষ্ট্যকে অত্যন্ত শক্তিশালী করে তুলে কাজে লাগিয়েছেন। এই বৈশিষ্ট্য নির্দিষ্ট অনুকূল পরিবেশে সাধারণ জলকে অ্যান্টিভাইরালে রূপান্তরিত করতে পারে।

 

47

এই অ্যান্টিভাইরাল জল স্প্রে করলে যে মাইক্রন আকারের ফোঁটা তৈরি হয় তা পরিবেশে ছড়িয়ে থাকা সার্স, কোভিড-এর মতো ভাইরাস এবং অন্যান্য জীবাণু ধ্বংস করতে পারে। এয়ারোসল বা জলের ক্ষুদ্র ফোটা হিসাবে বাতাসে কিংবা পৃষ্ঠতলে, যেখানেই থাকুক না ভাইরাস এই স্প্রে-তে তা নিষ্ক্রিয় হবেই।

 

57

শুধু কোভিড মহামারি নয়, এই দুই ভারতীয় উদ্ভাবকের তৈরি প্রযুক্তি ভবিষ্যত অন্যান্য ভাইরাসঘটিত মহামারি, বায়োটেরিরিজম বা জৈব সন্ত্রাস, এবং অন্যান্য বায়ো হ্যাজার্ড বা জৈব বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে এই প্রযুক্তি, বলে দাবি করেছেন দেবায়ন সাহা।

 

67

পারসেপিয়েন ইনোভেশনস প্রাইভেট লিমিটেড এখন এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তির বৃহত্তর উত্পাদনের জন্য সরকারি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করছে। তবে এই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তৈরি যন্ত্র অত্যন্ত সস্তা হবে বলেই তাঁরা জানিয়েছেন।

 

77

তাঁদের সংস্থার নাম 'পারসেপিয়েন' - 'পার' অর্থাৎ প্রত্যেক এবং 'সেপিয়েন' অর্থাৎ মানুষ। কাজেই সংস্থার নামের মধ্যেই বলা আছে তাদের তৈরি প্রযুক্তি শুধু ভাগ্যবান কয়েকজনের জন্য হবে না, সবার জন্য হবে। আর এই যন্ত্রটি জল ব্যবহার অ্যান্টিভাইরাল তরল তৈরি করে। জলের কোনও ঘাটতি হবে না।

 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos