করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে সেরামকে শো-কজ, কোভিশিল্ডের গলদ জানতে চাইল ডিজিআইসি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে রীতিমত আশার আলো দেখিয়েছিল অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক। টিকাটির তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। কিন্তু তৃতীয় পর্যায়ে উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই বেশ কয়েকজন  স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে যায়। তারপরই ট্রায়াল বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সংস্থাগুলি। এই টিকাটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছিল ভারতেও। দায়িত্বে ছিল পুনের সেরাম ইন্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। তারা এখনও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়ে যাচ্ছে।  তাই  ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া সংস্থাটিকে সোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে। ইতিমধ্যেই তার উত্তরও দেওয়া হয়েছে টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার পক্ষ থেকে। 

Asianet News Bangla | Published : Sep 10, 2020 6:53 AM IST / Updated: Sep 10 2020, 09:05 PM IST
110
করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে সেরামকে শো-কজ, কোভিশিল্ডের গলদ জানতে চাইল ডিজিআইসি

ব্রিটিশ-সিইডিশ ফার্ম অ্যাস্ট্রজেনেকার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করেছে অক্সফোর্ড। আর সেই প্রতিষেধক বাজারজাত করার জন্য সত্ত্ব কিনেছে ভারতের প্রতিষেধক নির্মাণকারী সংস্থা পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট। 

210

অক্সোফোর্ডের কোভিড প্রতিষেধকের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল বিট্রেনসহ একাধিক দেশে। কিন্তু বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষেধক গ্রহণের পরই অসুস্থ হয়ে যায়। তাই মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয় ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। তবে স্বেচ্ছাসেবকদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি অক্সফোর্ড। 
 

310

 অক্সফোর্ডের প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে ভারতে। দায়িত্বে রয়েছে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। কিন্তু এই সংস্থাটি ট্রায়াল বন্ধ করেনি। 

410

বুধবার রাতেই ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে একটি শোকজ নোটিশ পাঠান হয় পুনের সেরাম ইনস্টিটিউটকে।

510

ব্রিটেনের ঘটনার উল্লেখ করেই সেরামকে চিঠি পাঠান হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ডিসিজিআই-এর পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে নিরাপত্তার কারণে যখন অ্যাস্ট্রজেনেকা যখন ট্রায়াল বন্ধ করে দিয়েছে তখন কী করে সেরাম পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। 

 

610

সংস্থার পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড টিকার প্রভাবে ব্রিটেনের স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে কী ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে? তার বিস্তারিত রিপোর্ট কেন সেরাম এখনও পর্যন্ত জমা করেনি তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। 
 

710

অক্সফোর্ড টিকার গলদ নিয়েও বিস্তারিত জানতে চেয়েছে ডিজিসিআই। 

 

810

সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে যদি কোনও স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে পরীক্ষা বন্ধ রাখাই নিয়ম। কিন্তু এক্ষেত্রে তা হয়নি। 

910

সেরাম এক হাজারেরও বেশি মানুষের শরীরে টিকার ইনজেকশন দিয়েছে। । দ্বিতীয় আর তৃতীয় পর্বের চূড়ান্ত ট্রায়ালে রয়েছে তারা। তাই এই মুহূর্তে পরীক্ষা বন্ধ রাখাই শ্রেয় বলে জানান হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। 

 

1010

সেরামের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে সরকারের নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য তারা। তবে এখনও পর্যন্ত এদেশে কোনও স্বেচ্ছাসেবীর ওপর টিকা প্রয়োগ করা হয়নি। সবে প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। আগামী সপ্তাহ থেকে টিকা প্রয়োগের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। 
 

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos