আশা জাগাচ্ছে ৪টি ভ্যাকসিন, ২০২১ সালের প্রথমেই ভারতের বাজারে আসছে প্রতিষেধক

দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যেমন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে তেমনি জোর কদমে ট্রায়াল চলছে কোভিড–১৯ ভ্যাকসিনের। বার্নস্টেইনের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের বাজারে অনুমোদিত করোনা ভ্যাকসিন ২০২১ সালের প্রথমদিকে আসতে পারে।

Asianet News Bangla | Published : Aug 29, 2020 6:02 AM IST / Updated: Aug 29 2020, 02:18 PM IST
113
আশা জাগাচ্ছে ৪টি ভ্যাকসিন, ২০২১ সালের প্রথমেই ভারতের বাজারে আসছে প্রতিষেধক

২০২১ এর শুরুতেই ভারতে আসতে পারে প্রথম অনুমোদিত করোনা প্রতিষেধক। বার্নস্টেইন জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের বৃহত্তম প্রতিষেধক নির্মাতা সেরাম ইনস্টিটিউটের হাত ধরেই প্রথম করোনা প্রতিষেধক পেতে পারেন ভারতীয়রা। 

213

বিশ্বে মোট ৪ টি প্রতিষেধক এখন অনুমোদনের খুব কাছাকাছি। তার মধ্যে থেকেই ২ টি নিয়ে কাজ করছে সেরাম।  

313

বিশ্বজুড়ে প্রতিষেধকের চার প্রার্থী এই বছর বা ২০২১ সালের প্রথমদিকে অনুমোদন পাওয়ার খুব কাছে রয়েছে। এর মধ্যে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভেক্টর ভ্যাকসিন ও নোভাভ্যাক্সের প্রোটিন সাব ইউনিট ভ্যাকসিনের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে সেরামের। 

413

দুটি ভ্যাকসিনেরই প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়ালের ফল আশাব্যঞ্জক। দুটি প্রতিষেধককেই বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনতে সক্ষম বিশ্বের বৃহত্তম এই প্রতিষেধক নির্মাতা সংস্থা।

513

 যেরকম করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের  পরীক্ষার কাজ দ্রুততার সঙ্গে এগোচ্ছে তাতে আশা করা হচ্ছে ভারতীয় বাজারে ২০২১ সালের মধ্যে সেই ভ্যাকসিন  চলে আসবে৷

613

জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুয়ায়ী ২০২১ সালের মধ্যেই প্রতিষেধকের ৬০০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি করে ফেলতে পারে সেরাম। ২০২২ সালের মধ্যে ১ বিলিয়ন। যার মধ্যে ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ই ২০২১ সালের মধ্যেই উপলব্ধ হবে দেশে। 

713

রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ভ্যাকসিনের ৫৫ শতাংশ যেতে পারে সরকারি ভাবে বাকি ৪৫ শতাংশ মিলতে পারে বেসরকারি ভাবে।  

813

সেরামের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে প্রতিষেধকের প্রত্যেক ডোজের দাম হতে পারে ৩ ডলার অর্থাৎ ২২০ টাকার আশেপাশে। বার্নস্টেইন জার্নালে অবশ্য বলা হয়েছে সরকারের জন্য ডোজ প্রতি ২২০ টাকা। যা গ্রাহকের কাছে পৌঁছতে পারে ৪৪০ টাকা প্রতি ডোজ হিসাবে।

913

তবে হার্ড ইমিউনিটি বাস্তবায়নের জন্য আরও দু'‌বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

1013

এর আগে ২০১১ সালের পোলিও নির্মূল অভিযান এবং সাম্প্রতিক ইনটেনসিফাইড মিশন ইন্দ্রধনুশ (আইএমআই) বড় আকারের টিকাকরণের উদাহরণ। তবে এই কর্মসূচিগুলি কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন বাস্তবায়ন কর্মসূচির ১/৩ অংশ ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। 

1113

রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, ঠাণ্ডা ঘরে ভ্যাকসিনের সংরক্ষণ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে। এমনকী যদি বর্তমানে দ্বিগুণ পরিমাণে ভ্যাকসিনের ডোজ আসে তাও সরকারী কর্মসূচিতে বাস্তবায়নে ১৮-২০ মাস সময় লাগতে পারে। 

1213

এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‌আমাদের বিশ্বাস প্রথম ভ্যাকসিনের ডোজ বরাদ্দ করা হবে দুর্বল জনসংখ্যা, স্বাস্থ্য সেবা কর্মী, ৬৫ বছরের ওপরে যাদের বয়স সেই জনসংখ্যা, জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ক্ষেত্রের জনসংখ্যার জন্য'‌।

1313

এদিকে সিরামের পাশাপাশি এদেশে ভারত বায়োটেক ও জাইদুস ক্যাডিলা নিজেদের ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে এবং ইতিমধ্যে তা প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে। ‌ ‌

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos