চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় ট্রেন, দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাতে চালু হচ্ছে কল্পনার বাস্তব যাত্রা
চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় ট্রেন পরিষেবা। কল্পবিজ্ঞান হতে চলেছে বাস্তব। ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লি মেট্রোর ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ম্যাজেন্টা লাইনে চালু হচ্ছে এই পরিষেবা।
amartya lahiri | Published : Dec 26, 2020 9:48 AM IST / Updated: Dec 31 2020, 02:43 PM IST
২৮ ডিসেম্বর (সোমবার) ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় ট্রেন পরিষেবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের জন্য এটা যে একটা বিরাট প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, তা বলাই বাহুল্য।
দিল্লি মেট্রোর ৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ম্যাজেন্টা লাইনে চালু হচ্ছে এই চালকবিহীন ট্রেন পরিষেবা। দিল্লির জনকপুরী পশ্চিম-এর সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের নয়ডার বোটানিকাল গার্ডেন অবধি চলবে এই স্বয়ংক্রিয় ট্রেন।
২০০২ সালের ২৫ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ী দিল্লির মেট্রো চালু করেছিলেন। ১৯৮৪ সালে কলকাতা মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর, দেশের দ্বিতীয় মেট্রোরেল পরিষেবা চালু হয়েছিল দিল্লিতে। শুক্রবার, দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন বা ডিএমআরসি-র কর্মপরিচালনার ১৮ বছরের পূর্ণ হয়েছে। এর তিন দিন পরই দেশকে প্রথম ড্রাইভারহীন ট্রেন পরিষেবা উপহার দিতে চলেছে ডিএমআরসি।
এতদিন চালকবিহীন ট্রেন কল্পবিজ্ঞান বলেই মনে করা হত। কল্পনাকে বাস্তবে পরিণত করতে, কমিউনিকেশন বেসড ট্রেন কন্ট্রোল বা সিবিটিসি নামে একটি হাই-টেক সংকেত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
ডিএমআরসি অবশ্য ইতিমধ্যেই তাদের ম্যাজেন্টা লাইন (জনকপুরী পশ্চিম থেকে বোটানিকাল গার্ডেন) এবং পিঙ্ক লাইন (মজলিস পার্ক থেকে শিব বিহার)-এ চালকবিহীন ট্রেন চালিয়েছে। তবে এতদিন স্বয়ংক্রিয় হলেও কেবিনে একজন চালক-কে থাকতেই হতো।
২৮ ডিসেম্বর-এর পর থেকে ইঞ্জিন স্টার্ট দেওয়া থেকে ট্রেন চালানো - কোনও কিছুর জন্যই আর কোনও চালককে কেবিনে থাকতে হবে না। ডিএমআরসি জানিয়েছে, ট্রায়াল রানে তারা চালকবিহীন ট্রেনগুলির নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে।