আইএস জঙ্গির বাড়ি বিস্ফোরকের মজুতখানা, রাতভর তল্লাশিতে ফাঁস ফিদায়েঁ হামলার পরিকল্পনা, দেখুন

এড়ানো গেল ভয়াবহ 'ফিদায়েঁ হামলা'। দিল্লিতে ধৃত আই জঙ্গির বাড়িতে তল্লাশি। তারপর এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। কী মিলল তার বাড়ি থেকে?

amartya lahiri | Published : Aug 23, 2020 9:48 AM IST / Updated: Aug 23 2020, 03:20 PM IST

19
আইএস জঙ্গির বাড়ি বিস্ফোরকের মজুতখানা, রাতভর তল্লাশিতে ফাঁস ফিদায়েঁ হামলার পরিকল্পনা, দেখুন

'ফিদায়েঁ হামলা' অর্থাৎ আত্মঘাতি হামলার জন্য তৈরি হচ্ছিল শনিবার দিল্লিতে ধরা পড়া আইএস জঙ্গি। রবিবার সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরে ওই জঙ্গির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, সুইসাইড জ্যাকেট ও আরও অন্যান্য অনেক হামলাকারী সামগ্রী উদ্ধার করেছে।

 

29

শুক্রবার রাতে সংঘর্ষের পর দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল কেন্দ্রীয় দিল্লির রিজ রোড এলাকা থেকে আইএস সদস্য আবু ইউসুফ-কে গ্রেফতার করেছিল। স্পেশাল সেল-এর কমিশনার জানিয়েছিলেন জনবহুল কোনও এলাকায় আইইডি লাগানোর পরিকল্পনা করেছিল সে। জানা গিয়েছিল তার বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরে। শনিবারই উত্তরপ্রদেশ অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়াডের একটি দল তার সেই বাড়িতে হানা দিয়েছিল। দিল্লি পুলিশ-ও ইউসুফ-কে সঙ্গে নিয়ে সেখানে পৌঁছেছিল।

 

39

শনিবার রাতে আবু ইউসুফের গ্রামের আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।

 

49

ইউসুফের বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক, বিস্ফোরক বহনকারী সুইসাইড জ্যাকেট, আইইডি ট্রিগার, গান পাউডার, আইএস-এর পতাকা এবং তার সঙ্গে আইএস নেতাদের যোগসূত্রের প্রামাণ্য নথির মতো জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে।

 

59

পুলিশ জানিয়েছে তার ঘরে একটি করে তিন বিস্ফোরক পকেটযুক্ত বাদামী রঙের জ্যাকেট এবং চার বিস্ফোরক পকেটযুক্ত নীল রঙের চেক জ্যাকেট ছিল। ৩ কেজি বিস্ফোরক ভরা একটি চামড়ার বেল্ট-ও উদ্ধার করা হয়েছে।

 

69

শুধু তাই নয়, পুলিশ জানতে পেরেছে তার সঙ্গে আইএস শীর্ষ কমান্ডারদের সরাসরি যোগাযোগ ছিল। প্রথমে আবু ইউসুফ-কে নির্দেশ দিত সিরিয়ায় নিহত আইএস নেতা ইউসুফ আলহিন্দি। পাকিস্তানী থেকে আবু হুজাফা নামে এক আইএস নেতা ছিল ইউসুফ-এর হ্যান্ডলার। সে তাকে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। পরে হুজাফা-ও আফগানিস্তানে ড্রোন হামলায় খতম হয়। এরপর আইএস তাকে ভারত থেকেই লোন উল্ফ অর্থাৎ একাকী হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল।

 

79

ইউসুফ-এর বাবা কাফিল আহমেদ তাঁর ছেলের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ সম্পর্কে কিছু নাজানার দাবি করলেও তার স্ত্রী স্বামীর এই দিকের বিষয়ে প্রায় সবটাই জানতেন। ইউসুফ যে বাড়িতে বন্দুক এবং অন্যান্য উপকরণ জমা করছে তা তাঁর নজর এড়ায়নি। তিনি দাবি করেছেন, স্বামীকে তিনি বাধাও দিয়েছিলেন। কিন্তু, ইফসুফ শোনেনি। তাদের চার সন্তান রয়েছে। তাদের মুখ চেয়েই স্বামীর ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন তিনি। বাবা কাফিল আহমেদ-ও বলেছেন, 'যদি একবারের জন্য ক্ষমা করা সম্ভব হয়...'।

 

89

স্থানীয়রা জানিয়েছেন আবু ইউসুফ গ্রামে মুস্তকিম নামে পরিচিত। মুজিবুল্লা নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি জায়গা ভাড়া নিয়ে কসমেটিকস-এর দোকান চালাতো সে। বৃহস্পতিবারও তাকে সেই দোকানেই দেখা গিয়েছিল। তাঁরা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি সে দোকানের আড়ালে জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত।
 

 

99

এদিকে দিল্লিতে আইএস জঙ্গি গ্রেফতারের প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে আযোধ্যা নগরীতে। প্রত্যেক যাত্রীদের গাড়ি চেক করা হচ্ছে। অযোধ্যা এমনিতেই একটি সংবেদনশীল জায়গা। তাছাড়া আবু জানিয়েছিল, রামমন্দিরের ভিত ভুজোর একমাসের মধ্যেই হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল। তার সঙ্গে আরও কারোর সেই পরিকল্পনায় জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায়না।

 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos