দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দীর্ঘ ২৯ বছর পর অযোধ্যায় গেলেন তিনি। ইতিহাস বলছে এই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী এরকম একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।
সাকেত কলেজের মাঠে তাঁকে স্বাগত জানালেন যোগী আদিত্যনাথ।
416
এখান থেকে হনুমানগড়ি মন্দিরে পৌঁছান তিনি। এখানে তাঁকে রুপোর মুকুট ও বস্ত্র উপহার দেওয়া হয়। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত রাজু দাস সেই পাগড়ি মোদীর মাথায় পড়িয়ে দেন।
516
মন্দিরে দেবতার উদ্দেশ্যে আরতি করেন তিনি। সেখানে ১০ মিনিট থাকার পর রাম জন্মভূমির উদ্দেশ্যে রওনা দেন মোদী।
616
গণেশ দেবতার পূজার মাধ্যমে রাম মন্দিরের ভূমিপুজার অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মোদী।
716
৪০ মিনিট ধরে পুজো ও যজ্ঞ করার পর ৪০ কেজি রুপোর ইট দিয়ে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
816
রুপোর বেলচা দিয়ে অযোধ্যায় জন্মভূমিতে রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নয়টি ইঁট সেখানে রাখা হয়েছিল। ১৯৮৯ সালে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছিল ওই ইঁটগুলি।
916
রাম মন্দিরের জন্য মোট ২ লক্ষ ৭৫ হাজার ইঁট পাঠিয়েছে ভক্তরা। যার মধ্যে 'জয় শ্রী রাম' খোদাই করা ইঁট বাছাই করা হয়েছে।
1016
বেলা ১২ টা ৫১ মিনিট নাগাদ পুজো সম্পন্ন হলে পায়ে হেঁটে মঞ্চের উদ্দেশ্যে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
1116
এদিন রাম মন্দিরের ছবি দেওয়া একটি ডাক টিকিটও প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
1216
বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী বলেন সরযূ নদীর তীরে স্বর্ণযুগের সূচনা হল।
1316
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘বহু দিনের প্রতীক্ষা শেষ। এত দিন তাঁবুতে মাথা গুঁজে ছিলেন রামলালা। এ বার তাঁর জন্য সুবিশাল মন্দির নির্মিত হবে। বহু শতক ধরে যে ভাঙা-গড়ার খেলা চলে আসছে, আজ রামজন্মভূমি তা থেকে মুক্ত হল।’’
1416
প্রধানমন্ত্রী মোদী মন্দিরের ভিত্তি খনন করতে রূপোর শাবল এর ব্যবহার করেছেন। এই সময়ে, ভিত্তি ইটের উপর সিমেন্ট দেওয়ার জন্য সিলভার ট্রেরও ব্যবহার করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
1516
স্বাধীনতা আন্দোলনে সারা দেশ যোগ দিয়েছিল। রামমন্দিরের জন্যও অনেকে বলিদান দিয়েছেন। আজ তাঁদের প্রতীক্ষা শেষ হল বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
1616
মোদী বলেন, ‘রামের জয়ধ্বনি সারা বিশ্বে শোনা যাচ্ছে। শুধু দেশবাসী নয় সারা পৃথিবীর ভারতবাসী শুনতে পাচ্ছেন। সরযূ নদীর তীরে এক স্বর্ণযুগের সূচনা হল। আজ গোটা ভারতই রামময়, রোমাঞ্চিত।’