রাজনীতির মত প্রেমেও এসেছিল কড়া চ্যালেঞ্জ, পরিবারের অমতে গিয়েই বিয়ে করেছিলেন শচীন পাইলট

রাজস্থানে রাজনৈতিক কোন্দলের মাঝে সবার নজর এখন শচীন পাইলটের দিকে। অনেকের মনেই এখন এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো হাত ছেড়ে এবার কি পদ্ম শিবিরে নাম লেখাবেন শচীন। ভারতীয় রাজনীতির সুদর্শন ও তরুণ এই রাজনীতিকের জীবন আজ যেমন নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে একসময় তাঁর প্রেমজীবনও সেই উত্থান-পতনের সাক্ষী থেকেছে। 
 

Asianet News Bangla | Published : Jul 18, 2020 7:32 AM IST
114
রাজনীতির মত প্রেমেও এসেছিল কড়া চ্যালেঞ্জ, পরিবারের অমতে গিয়েই  বিয়ে করেছিলেন শচীন পাইলট

শচীনের লাভ লাইফ কোনও সিনেমার গল্পের থেকে কম রোমাঞ্চকর নয়। যাতে অ্যাকশন, ড্রামা এবং ইমোশন তিনটিই ছিল ভরপুর। গল্পটি শুরু হয়েছিল যখন তিনি তার এমবিএ করার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন। 

214

দিল্লির এয়ার ফোর্স বাল ভারতী স্কুলের পাঠ শেষ করে  দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট স্টিফেনস কলেজ থেকে স্নাতক হন শচীন। এরপর এমবিএ করতে তিনি  পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। এখানেই জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহর কন্যা ও ওমর আবদুল্লাহর ছোট বোন সারা আবদুল্লাহর সাথে তাঁর দেখা হয়।

314

ধীরে ধীরে দু'জনে একে অপরকে পছন্দ করতে শুরু করেন। বন্ধুত্ব থেকে সেই সম্পর্ক ক্রমে প্রেমের দিকে মোড় নেয়। শচীন এরপর এমবিএ শেষ করে ভারতে ফিরে আসেন, কিন্তু সারা লন্ডনেই থেকে যান। তবে ভারত ও লন্ডনের মধ্যকার দূরত্ব উভয়ের প্রেমে বাধা হয়ে উঠতে পারেনি। ই-মেইল এবং ফোনের মাধ্যমে উভয়ই  যাগোযাগ রেখে চলেন। 

414

এভাবেই প্রায় ৩ বছর চলতে থাকে।  শেষপর্যন্ত  শচীন এবং সারা তাদের সম্পর্ক পরিবারকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সেখান থেকেই শুরু সমস্যার।  শচীন হিন্দু এবং সারা ছিলেন মুসলিম। 

514

শচীন ও সারার সম্পর্কে ধর্ম প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায়। দেশের দুই নামজাদা রাজনৈতিক পরিবারই সম্পর্কটি মেনে নিতে  অস্বীকার করে। 

614

তবে বেশিরভাগ সিনেমার  মতো এখানেও প্রেমের গল্পটির সুন্দর সমাপ্তি ঘটে। এজন্য অবশ্য  শচীন এবং সারাকে  অনেক লড়াই করতে হয়েছিল।

714

সারার বাবা তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রধান  ফারুক আবদুল্লাহ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি এই বিয়ে কিছুতেই মেনে নেবেন না।  সারা তার বাবাকে বোঝানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তার মন গলে যায়নি। 

814

সম্মতির সমস্ত দরজা বন্ধ দেখে  শচীন এবং সারা সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে বিয়ে করেন দু'জনে। আবদুল্লাহ পরিবারের তরফে কেউ সেই বিয়েতে অংশ নেননি।

914

তবে শচিনের পরিবার সারার পাশে দাঁড়িয়েছিল। শচিনের মা তথা কংগ্রেস নেত্রী রমা পাইলট দিল্লির ২০ টি ক্যানিং লেনের সরকারি বাসভবনে খুব সাধারণ পদ্ধতিতে গাঁটছড়া বাঁধেন।
 

1014

তবে সময়ের সাথে সাথে আবদুল্লাহ পরিবার অবশ্য শচীন ও সারার সম্পর্ক মেনে নিয়েছে।

1114

শোনা যায় বিয়ের দিন ফারুক আবদুল্লাহ লন্ডনে ছিলেন আর  ওমর আবদুল্লাহ ব্যস্ত ছিলেন এক পরিচিতের  চিকিৎসা করাতে। শচীন ও সারা বিয়ের পর দীর্ঘদিন ধরে দুই পরিবারের সম্পর্ক তিক্ত ছিল। তবে এখন সবকিছু স্বাভাবিক। 

1214

আজ যেখানে শচীন রাজনীতিতে নিজের আলাদা পরিচয় তৈরি করেছেন, সেখানে সারা ব্যস্ত থাকেন সামাজিক কাজে। নিজের এনজিও রয়েছে তাঁর।

1314

শচীন ও সারার  দুটি সন্তান রয়েছে। যাদের নাম অরণ ও বিহান।

1414

জানা যায় শচীন কখনই রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চাননি। তবে বাবা রাজেশ পাইলটের মৃত্যুর পরে তাঁকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়েছিল।

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos