ক্রমেই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে 'সাম্বার দেশে', করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়াল ব্রাজিলে

করোনাভাইরাসের মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ পার করল ব্রাজিল। যা বিশ্বির মধ্যে দ্বিতীয়। এখনও পর্যন্ত সংক্রমণ হ্রাস পাওয়ার কোনও লক্ষণ নেই। যা নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ বাড়ছে দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লক্ষেরও বেশি। 
 

চার মাসেরও বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে ব্রাজিল। কিন্তু তিন মাসে মৃত্যু হয়েছিল ৫০ জনের। আর গত ৫০ দিনে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫০ হাজারের ও বেশি মানুষের। 
 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বর্তমানে দেশটিতে ভয়াবহ আকার নিলেও এখনও পর্যন্ত লকডাউনের রাস্তায় হাঁটেনি স্থানীয় প্রশাসন।  রেঁস্তোরা, দোকানপাট, হোটেল সবই খোলা রয়েছে। 

 বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রত্যন্ত এলাকা ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে,  যেখানে উপযুক্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা নেই সেখানেই করোনাভাইরাস ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। 

হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, লাতিন আমেরিয়া ও ক্যারিবিয়ান এলাকায় মৃত্যুর প্রায় অর্ধেকই ব্রাজিলের সংঘটিত হয়েছে। 

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনেরো করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতিতে কোনও রকম প্রভাব পড়েতে দিতে রাজি নন। তাই লকডাউন বা সাময়িক বন্ধ বা কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে রাজি নন। 11
 

বিশেষজ্ঞ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ব্রাজিল প্রেসিডেন্টের এই নীতির তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন সরকারের সমন্বয় ও পরিকল্পনার অভাবেই দেশে মহামারীর প্রাদুর্ভাব কমছে না।

বর্তমানে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন এক সেনা জেনারেল। তাঁর নূন্যতম অভিজ্ঞতা নেই বলেও সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। আগের দুই স্বাস্থ্য মন্ত্রী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে পদত্যাগ করেছেন।

দিন কয়েক আগে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বোলসোনেরো করোনাভাইাসের আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি অ্যান্টি ম্যালেরিয়ার ওষুধেই ভরসা রেখেছিলেন।

ব্রাজিলের বিশেষজ্ঞরা অ্যান্টি ম্যালেরিয়ার ওষুধে ভরসা রাখতে নারাজ। মৃতের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর  ব্রাজিল প্রশাসন দেশের করোনা পরিস্থিতিকে বিশ্বযুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছে।