Afghanistan - কেতার ফ্যাশনে জবাব নেই তালিবানদের, ২০ বছরে কতটা বদলেছে, দেখুন ছবিতে ছবিতে

অনেকেই বলছেন তালিবান ২.০। এতটাই নাকি বদলে গিয়েছে তালিবানরা। যেভাবে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে, মহিলাদের সম্মান দেওয়ার কথা বলছে, চরমপন্থা চেড়ে মধ্যপন্থী ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছে, মুখপাত্রদের মারফৎ তাতে অনেকেই বলছেন সত্য়িই বদলে গিয়েছে তালিবানরা। আবার যেসব আফগান বিমানের চাকায় চড়ে হলেও দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন, যারা আগেই পালাতে বাধ্য হয়েছেন, তারা বলছেন, তালিবানদের কথায় ভুলো না। ওরা একটুও পাল্টায়নি, পাল্টাতে পারে না। দেখা যাক গত ২০ বছরে ঠিক কতটা পাল্টেছে চরমপন্থী সংগঠনটি, নাকি আদৌ পাল্টায়নি?
 

amartya lahiri | Published : Aug 21, 2021 2:52 PM IST / Updated: Aug 24 2021, 02:35 PM IST

16
Afghanistan - কেতার ফ্যাশনে জবাব নেই তালিবানদের, ২০ বছরে কতটা বদলেছে, দেখুন ছবিতে ছবিতে

কাবুল পতনের দুদিন পর, আফগান টিভি চ্যানেল  টোলো নিউজের পর্দায় েক তালিব নেতার সাক্ষাৎকার নিতে দেখা গিয়েছিল একজন আফগান মহিলা উপস্থাপককে। বেসরকারি আরেক নিউজ চ্যানেলের েক মহিলা সাংবাদিককে  কাবুলের রাস্তা থেকেও রিপোর্ট করতে দেখা গিয়েছে। ই থবিগুলোর পাশাপাশিই আবার অনেক মহিলা সাংবাদিকই দাবি করেছেন, কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে তাদের। কাজেই মুখে যতই নারীদের সম্মান করার কথা বলুক তারা, কাজে কতটা মহিলাদের নিয়ে তাদের বদল হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন যায়নি। তবে, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তালিবানি শাসনের থেকে কিছু বেশি সুবিধা মহিলারা পাবেন বলেই আশা করা হচ্ছে। 
 

26

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত, অর্থাৎ, তালিবান ১.০ের সময়ে তালিবানরা ছিল উত্তর আফগানিস্তানের অপেক্ষাকৃত নতুন, অনভিজ্ঞ েকটি সংগঠন। বর্তমানে, তালেবানরা কিন্তু, বিপুল অর্থনৈতিক সম্পত্তির অধিকারী। আফগানিস্তান একি সঙ্গে বেআইনি মাদক এবং আরও বিভিন্ন দ্রব্যের চোরাচালেনর পথ। সেইসব জায়গা থেকে বিপুল অর্থ আসে তাদের কোষাগারে। কত? সব মিলিয়ে আনুমানিক ৩ চ্রিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি! তাছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত চৌকিগুলি দখল করার সঙ্গে সঙ্গে তাদের হাতে আরও কোটি কোটি টাকার সম্পদ এসেছে। 

36

ক্ষমতায় ফেরার আগে থেকেই তালিবানদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সহযোগিতা কামনা করতে দেখা গিয়েছে। ের আগে কিন্তু, আন্তর্জাতিক শক্তিদের সঙ্গে সহযোগিতার বদলে তারা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী শক্তিগুলিরকে ডেকে েনেছিল। তালিবানদের আফগানিস্তান দখলকে বাহবা দিয়েছে আল কায়েদা। আবার তালিবানরা লস্কর-জইশ-আইেস জঙ্গিদের আফগানিস্তানে আশ্রয় দেবে না বলে শোনা যাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টও দাবি করেছেন, আল কায়দা তালিবানি আফগানিস্তানে জায়গা পাবে না। পরে কী হবে জানা নেই, তবে আপাতত আন্তর্জাতিক শক্তিগুলির সঙ্গে সহযোগিতার রাস্তাতেই হাটতে চাইছে তারা।

46

আত্মপ্রকাশের এক নতুন মাধ্যম খুঁজে নিয়েছে তালিবানরা। এর আগে বহির্বিশ্বের সঙ্গে তালিবানদের সংযোগ মানেই ছিল, ভিডিও বার্তায় হুমকি দেওয়া। তার বদলে টুইটার ফেসবুকের মতো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে তালিবানরা তাদের ভাবমূর্তির বদল ঘটাতে চাইছে। এমন ধরণের সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট তৈরি করছে, যা বাকি বিশ্বকে বলে আগের অন্ধকারময় যুগকে তালিবান ২.০ পিছনে ফেলে এসেছে। কাবুল দখলের পর যেমন তাদের যোদ্ধাদেরকে আইসক্রিম খাওয়া, মজা করার মতো ভঙ্গিতে দেখানো হয়েছে। যেন পৃথিবীর বাকি ৫জন সাধারণ মানুষ আর তালিবানিদের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। শিয়া মুসলমান, হাজারা সম্প্রদায় এবং শিখ, হিন্দুদের মতো সংখ্যালঘুদের আশ্বাস দিচ্ছে তালিানরা, সেই ভিডিও এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হেরাত অধিগ্রহণের পর আবার, মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছিল। 

56

 

সবথেকে বড় বদলটা বোধহয় ঘটেছে তালিবানি ফ্যাশনে। আগে তালিবানদের দেখা যেত, একেবারে ঐতিহ্যবাহী পোশাকে, মুখভর্তি দাড়ি নিয়ে। পোশাকের রঙ ছিল একেবারেই ম্যারমেরে। এখন কিন্তু, নতুন প্রজন্মের তালিবানি সদস্যদের পরে সানগ্লাস, আড়ম্বরপূর্ণ বাহারি পোশাক, এমনকী তালিবান পতাকার ব্র্যান্ড লাগানো বেসবল টুপি পরতেও দেখা যাচ্ছে। ধুসর রঙ ছেড়ে তাঁরা ব্যবহার করছেন ঊজ্জ্বল বিভিন্ন রঙ। কাবুলে অনেক তালিবানি যোদ্ধাকে এমনকী দাড়ি ছাড়া ক্লিন শেভ করা অবস্থাতেও দেখা গিয়েছে। তালিবান ২.০-র ফ্যাশন নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রসিকতা শুরু হয়েছে। 
 

66

 

প্রশ্নটা হল, উপরে যে পরিবর্তনগুলো দেখা যাচ্ছে, সেগুলি কি আসল পরিবর্তন? ফ্যাশনে বা সোশ্য়াল মিডিয়ায় উপস্থিতিতে তালিবানদের বড় পরিবর্তন হয়েছে এটা মানতেই হবে। মহিলাদের নিয়ে অন্তত প্রকাশ্যে তারা কিছুটা হলেও আশার কথা শোনাচ্ছে। কিন্তু, এইসব পরিবর্তন কি আসল পরিবর্তন? এখনও তো খবর আসছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতার মূর্তি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার। খবর আসছে, হাত-চোখ বেধে গুলিতে বন্দিকে উড়িয়ে দেওয়ার। রান্নার স্বাদ খারাপের অজুহাতে মহিলাকে জীবন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়িয়ে হত্য়া করার। কাজেই, তালিবানদের খোল যতই বগলাক, ভিতর থেকে এখনও কিন্তু, সেই মধ্যযুগীয় বদ্ধ বাতাসের পচা গন্ধই পাওয়া যাচ্ছে।
 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos