সূর্য থেকে ধেয়ে আসছে জিও ম্যাগনেটিক ঝড়। যার সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীতে। উড়ে যেতে পারে বিদ্যুৎ পরিষেবা, ক্ষতি হতে পারে স্যাটেলাইটের। এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই ঝড়ে আকাশে দেখা দিতে পারে অদ্ভুত সবুজ আলো। দেখুন ছবি
Parna Sengupta | Published : Sep 26, 2021 11:59 AM IST / Updated: Sep 26 2021, 05:53 PM IST
স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার (Space Weather Prediction Center) বা এসডব্লিউপিসি সতর্কবার্তা জারি করেছে। তাদের দাবি পৃথিবীর (Earth) দিকে ধেয়ে আসছে জিও ম্যাগনেটিক ঝড় (geomagnetic storm)।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এই উইং এসডব্লিউপিসি জানাচ্ছে চলতি সপ্তাহেই পৃথিবীতে আঘাত হানবে জিও ম্যাগনেটিক ঝড়।
স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার জানাচ্ছে এই ঝড় খুব দ্রুত এগিয়ে আসছে এবং পৃথিবীতে আঘাত হানতে চলেছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন এই ঝড়ের প্রকৃতি জি ১ বা জি ২ অনুরূপ।
গবেষণায় বলা হয়েছে যে যদি নেটওয়ার্কের রিপিটারগুলি অফলাইনে চলে যায়, তাহলে সেই ঘটনা ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট তৈরি করার জন্য যথেষ্ট। সমস্যায় পড়তে পারে সেই সব দেশ, যারা কেবল আন্ডারসি কেবল থেকে আসা ইন্টারনেটের উপর নির্ভর করে।
জিও ম্যাগনেটিক ঝড় কি? এটি একটি ভূ -চৌম্বকীয় ঝড় বা সৌর ঝড় একটি 'স্পেস ওয়েদার' সম্পর্কিত ঘটনা যেখানে সূর্য থেকে বেশি মাত্রায় চুম্বকীকৃত কণা বের হয়।
সূর্য থেকে করোনাল মাস ইজেকশন (সিএমই) হয়। ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়গুলোকে ১-৫ স্কেলে মাপ করা হয়, যার মধ্যে ১ নম্বর সবচেয়ে দুর্বল এবং ৫ নম্বর মাপের ঝড়ে ক্ষতির সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা থাকে।
জিও ম্যাগনেটিক ঝড় পৃথিবীতে আঘাত করলে কী হয়? পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল পৃথিবীকে সাধারণত এই ধরণের কণার স্রোত থেকে রক্ষা করতে পারে। তবে কণাগুলি পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সংস্পর্শে আসলে মারাত্ম ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
এর ফলে পৃথিবী পৃষ্ঠের বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থায়ী ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। প্রযুক্তিক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। ক্ষতি হতে পারে স্যাটেলাইটগত প্রযুক্তির।
এই সৌর ঝড় পৃথিবীকে কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত প্রভাবিত করতে পারে। গবেষকদের রিপোর্ট বলছে ১৮৫৯ সালের ১-২ সেপ্টেম্বর, একটি জিও ম্যাগনেটিক ঝড় পৃথিবী জুড়ে উজ্জ্বল অরোরা তৈরি করেছিল।
সেসময় সীমিত বৈদ্যুতিক এবং যোগাযোগ লাইনগুলিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল এই ঝড়। সারা বিশ্বে টেলিগ্রাফ সিস্টেম অচল হয়ে পড়ে। বেশ কয়েকজন টেলিগ্রাফ অপারেটর কাজ করার সময় বৈদ্যুতিক শক খান।