লাগল না পুরুষসঙ্গী, লাগল না সহবাস - অনলাইনেই গর্ভবতী মহিলা, জন্মালো প্রথম 'ই-বেবি'

পুরুষদের কি প্রয়োজন ফুরোলো? মহিলারা সন্তানের জন্ম দেওয়ার বিষয়ে একেবারে স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়ে গেলেন? প্রশ্ন তুলে দিলেন ৩৩ বছরের এক ব্রিটিশ মহিলা। এক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অর্ডার দিয়ে শুক্রাণু এবং গর্ভাধানের কিট কিনেছিলেন তিনি। তারপর একটি 'ই-বেবি'র জন্ম দিয়েছেন তিনি, কোনও পুরুষের অংশগ্রহণ ছাড়াই।

amartya lahiri | Published : Sep 20, 2021 5:47 PM IST / Updated: Sep 22 2021, 10:57 AM IST

18
লাগল না পুরুষসঙ্গী, লাগল না সহবাস - অনলাইনেই গর্ভবতী মহিলা, জন্মালো প্রথম 'ই-বেবি'

ইংল্যান্ডের টিসাইড প্রদেশের নানথর্পের বাসিন্দা স্টিফেনি টেইলর। প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে তার ফ্রাঙ্কি নামে ৫ বছরের এক পুত্র সন্তান আছে। তবে স্টিফেনি দ্বিতীয় সন্তান চেয়েছিলেন। 
 

28

এদিকে দ্বিতীয় কোনও সম্পর্কে গেলে সেটি, তা ফ্রাঙ্কির জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। খোজ নিয়েছিলেন প্রাইভেট ফার্টিলিটি ক্লিনিকের। খরচার কথা শুনে তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। ১.৬১ লক্ষ টাকারও বেশি খরচা হত। ওই বিপুল খরচ করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।
 

38

তাই দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন না, বলে মেনে নিয়েছিলেন তিনি। ডেইলি স্টার জানিয়েছে, এরপরই স্টিফানি একটি স্ব-গর্ভধারণের 'ডু ইট ইয়োরসেল্ফ' বা নিজে নিজে করার ভিডিও দেখেছিলেন ইউটিউবে। সেখানেই কীভাবে নিজে নিজেই বাড়িতে কোনও পুরুষ সঙ্গী বা ফার্টিলিটি ক্লিনিকের সহায়তা ছাড়াই গর্ভধারণ করা যায়, তার টিউটোরিয়াল ছিল সেই ভিডিওটি। 
 

48

ওই ভিডিও থেকেই তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন 'জাস্ট এ বেবি' নামে কটি অ্যাপ। ই অ্যাপে অনলাইনে শুক্রাণু বিক্রি হয়। স্টিফানি সেখান থেকে শুক্রাণু কিনেছিলেন। আরেক অনলাইন শপিং সাইট 'ইবে' থেকে একটি ইনসেমিনেশন কিট, অর্থাৎ শুক্রাণুকে তার ডিম্বানুতে পৌঁছে দেওয়ার যন্ত্রাদি অর্ডার করেছিলেন। 

58

ওই অ্যাপের মাধ্যমে স্টিফানি একজন স্পার্মডোনার বা শুক্রাণু দাতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তিন সপ্তাহ ধরে মেসেজ চালাচালি করার পর, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তাঁর বাড়িতে এসে তাঁর বীর্য দান করে গিয়েছিলেন তিনি। 

68

প্রথম প্রচেষ্টাতেই তিনি গর্ভধারণ করেছিলেন। ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর স্টিফানির কোলে এসেছিল এক সুস্থ সবল সন্তান। স্টিফানি তার নাম রেখেছেন ইডেন। আবার মা হতে পেরে তিনি দারুণ খুশি। তার বাচ্চা যেভাবে এই পৃথিবীতে এসেছে, তাতে তিনি খুবই গর্বিত। 

78

ইডেনকে তিনি 'সত্যিকারের অনলাইন শিশু' বলেছেন, কারণ যদি ইলেকট্রনিক অ্যাক্সেসগুলি না থাকত, তাহলে ইডেন কখনও জন্মাতেই পারত না। তার জন্মকে স্টিফানি 'অলৌকিক ঘটনা' বলেই মনে করেন। এতে করে তার পরিবার সম্পূর্ণ হয়েছে বলে মনে করছেন স্টিফানি। 
 

88

স্টিফানির মা এবং তার বোন স্টিফানির সিদ্ধান্ত নিয়ে দারুণ খুশি। তার বাবা প্রথমে মেনে নিতে না চাইলেও, এখন তিনি মনে করেন এটা দারুণ সিদ্ধান্ত। স্টিফানি জানিয়েছেন, ইডেন যদি কোনও দিন তাঁর 'ডিএনএ দানকারী'র সঙ্গে দেখা করতে চায়, তাতে তিনি তার সঙ্গে সন্তানের দেখা করার ব্যবস্থাও করে দেবেন। 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos