নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে শ্বাস-প্রশ্বাস নিলেই জব্দ হবে করোনা, দাওয়াই দিচ্ছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী
প্রাণায়াম ও যোগাভ্যাসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দেওয়া যায় বলে আগেই দাবি করেছেন অনেকে। যাতে শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়ম মানার কথাও বলা হয়েছে। এবার তেমনই দাবি করলেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী লুইস জে ইগনারো। আর সেই দাবি নিয়ে ইতিমধ্যে হৈচৈ পড়ে গেছে গোটা বিশ্বে।
Asianet News Bangla | Published : Jun 25, 2020 4:00 AM IST / Updated: Jun 25 2020, 09:31 AM IST
করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে দ্য কনভার্সেসন পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবরে চমকে ওঠার মতো দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে শ্বাস-প্রশ্বাস নিলে করোনা রুখে দেওয়া যাবে!
দ্য কনভার্সেশনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোনো মানুষ ঠিক কিভাবে শ্বাস নেয়, তার ওপর নির্ভর করতে পারে করোনা সংক্রমণ আটকানো যাবে কি না।
প্রতিবেদনে এও দাবি করা হয়েছে, যাঁরা নাক দিয়ে শ্বাস গ্রহণ করে মুখ দিয়ে ছাড়েন তাঁদের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাই বেশি হয়।
আর সেই দাবিকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ দাবিটি করেছেন নোবেলজয়ী ফার্মাকোলজিস্ট লুইস জে ইগনারো।
ইগনারো ১৯৯৮ সালে মেডিসিনে নোবেল পান। তাঁরই গবেষণা অনুযায়ী যাঁরা নাক ও মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নেন তাঁদের ন্যাজাল ক্যাভিটিতে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি হয়। এই মলিকিউল ফুসফুসে রক্তের প্রবাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। একই সঙ্গে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
বিজ্ঞানীর দাবি, যখন কেউ নাক দিয়ে শ্বাস নেয়, তখন নাইট্রিক অক্সাইড সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছে যায়। এর জেরে করোনাভাইরাসকে ফুসফুসে রেপ্লিকেশন আটকে দেয়। রক্তে অধিক অক্সিজেন থাকলে মানুষ সতেজ বোধ করে।
মানুষের শরীরে সব সময় নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি হয় আর তার মাধ্যমে মানব দেহের ধমনি ও শিরাগুলোতে, বিশেষত ফুসফুসের এন্ডোথেলিয়াম গঠনে সহায়তা করে। এই এন্ডোথেলিয়াম ধমনির পেশিগুলো মসৃণ করতে সহায়তা করে, যা উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কিত সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
নাইট্রিক অক্সাইড অন্যান্য অঙ্গগুলিতে রক্ত প্রবাহকে বাড়িয়ে তোলে। তা ছাড়াও নাইট্রিক অক্সাইড সাধারণ ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধে সহায়তা করে।