ইরান জুড়ে শোনা যাচ্ছে 'অত্যাচারী নিপাত যাক' স্লোগান। আমিনি মৃত্যুর ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে গোটা বিশ্বজুড়ে। কার্যত চাপের মুখে পড়েই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাইসি সরকার। অন্যদিকে ২২ বছরের তরুনীর মৃত্যুতে গর্জে উঠেছে ইরানের নারী সমাজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে হিজাব পোড়ানোর, চুল কেটে ফেলার ভিডিও। ইতিমধ্যে প্রতিবাদ করতে নেমে নিহত ৩১ জন। পুলিশের বিরুদ্ধে সমবেত জনতার উপর লাঠি চার্জের অভিযোগ। প্রতিবাদের আগুন প্রথম জ্বলে উঠেছিল কুর্দিস্তান প্রদেশে। তারপর ইরানের ১৫টি শহরে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। একদিকে যেমন নির্বিচারে বিক্ষোভকারীদের উপর চলছে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়া, গুলি চালানো। অন্যদিকে প্রতিবাদের খবর ছড়িয়ে পড়া রুখতে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ইরানের মানবাধিকার সংগঠনের অধিকর্তা মেহমুদ আমিরি মোঘাদ্দাম জানিয়েছেন, 'ইরানের মানুষ নিজেদের মৌলিক অধিকার, সম্মানের জন্য পথে নেমেছেন। সেই শান্তিপূর্ণ মিছিলকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিচ্ছে পুলিশ।'