সারাদিন পর্নোগ্রাফি দেখছে তালিবান, তৈরি হচ্ছে 'তালিকা' - কী চলছে কট্টরপন্থীদের মাথায়, দেখুন

বোরখায় সর্বাঙ্গ ঢাকা ছাড়া মহিলাদের রাস্তায় বের হতে দেয় না যে তালিবানরা, তারা যে পর্নোগ্রাফির তীব্র নিন্দা করবে, সেটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্য়ম 'দ্য সান অনলাইনে'র েক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কট্টরপন্থী ইসলামি গোষ্ঠীর সদস্যরা েখন রাতদিন পর্ন সাইট ঘাটছে। আর পর্নসাইট দেখে দেখে নাকি তারা তৈরি করছে 'কিল লিস্ট' বা অর্থাৎ হত্যার তালিকা। 
 

Asianet News Bangla | Published : Sep 3, 2021 3:26 PM IST / Updated: Sep 03 2021, 11:21 PM IST

110
সারাদিন পর্নোগ্রাফি দেখছে তালিবান, তৈরি হচ্ছে 'তালিকা'  - কী চলছে কট্টরপন্থীদের মাথায়, দেখুন

ব্রিটিশ গোয়েন্দা সূত্র উদ্ধদৃত করে দ্য সান-ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালিবানরা প্রকাশ্যে পর্নোগ্রাফির তীব্র নিন্দা করলেও, বর্তমানে তারা মন দিয়ে অশ্লীল ওয়েবসাইটগুলিই দেখছে। খুঁজে খুঁজে সবচেয়ে অশ্লীল, সবথেকে গোপন, গভীরভাবে লুকানো প্রাপ্তবয়স্ক সাইটগুলিতেই তারা ঢুকছে। আর েকেবারে আগাপাছতলা তন্য তন্য করে খুজছে আফগান পর্ন। 
 

210

পর্নোগ্রাফি দেখা ভালো কি খারাপ, তা তর্কের বিষয়। তবে সাধারণভাবে কেউ পর্ন দেখে দর্শকামের যৌন উত্তেজনা উপভোগ করার জন্য। কিন্তু,তালিবানরা তো আর স্বাভাবিক মানুষদের মধ্যে পড়ে না। তাদের পরিকল্পনা আরও বড়, অনেক ঘোরপ্যাচ রয়েছে তাদের ভাবনায়। তারা আফগান মহিলাদের পর্নোগ্রাফি দেখছে কামনাকে সন্তুষ্ট করার জন্য নয়,  হত্যার তালিকা তৈরি করার জন্য। 

 

310

ব্রিটিশ গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক সাইটে ঢুকে আফগান পর্নগুলি খুটিয়ে দেখছে তালিবানরা। েকদিকে চিহ্নিত করা হচ্ছে গত ২০ বছরে পর্নোগ্রাফিতে দেখানো পতিতালয়গুলিকে। অন্যদিকে ভিডিওগুলিতে অভিনয় করা আফগান মহিলাদেরও সনাক্ত করা হচ্ছে। ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের দাবি, তাদের পরিকল্পনা হল, ই আফগান মহিলাদের হত্যা করা কিংবা নিজেদের ইচ্ছামতো ব্যবহার করা অর্থাৎ যৌনদাসীতে রূপান্তরিত করা।

410

গোয়েন্দারা বলেছেন, অধিকাংশ আফগান পর্ন ভিডিওগুলিতে পতিতালয়গুলির অবস্থান স্পষ্ট। তাই ভিজিওতে যে আফগান মহিলাদের দেখা যাচ্ছে, তাদের এখন ভয়ঙ্কর উপায়ে অপহরণ বা খুন হওয়ার গুরুতর বিপদ রয়েছে। সূত্রের দাবি, তালিবানরা প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দিতে বা 'নিজেদের খুশির মতো যৌন হেনস্থা' আফগান পতিতাদের করার জন্য পাগল হয়ে উঠেছে। 
 

510

ওই সূত্র আরও দাবি করেছে, কয়েকটি ভিডিওতে আফগান মহিলারা পাশ্চাত্যের পুরুষদের সঙ্গেও যৌনমিলন করতে দেখা গিয়েছে। তালিবানদের ক্রোধ তাতে আরও বেড়েছে। বিশেষ করে ওই মহিলাদের কপালে তালিবানি বিচারে নরক যন্ত্রণা জুটতে পারে। কারণ তালিবানদের চোখে পাশ্চাত্যবাসী মাত্রই ইসলামের শত্রু। 

 

610

দ্য সান-ের প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রথমেই তাদের গণধর্ষণ করবে তালিবান যোদ্ধারা। তারপর হয় প্রকাশ্য কোনও স্থানে তাদের চোখবাধা অবস্থায় শিরশ্ছেদ করা হবে। নয়তো পাথর মেরে মেরে রক্তাক্ত করে মারা হবে। নয়তো প্রকাশ্যে ফাসিতে লটকানো হবে। 

710

তালিবানরা নিজেদের যতই পাল্টে যাওয়া মধ্যপন্থী হিসাবে তুে ধরার চেষ্টা করুক, তাদের মুখোশ ধীরে ধীরে খসে পড়ছে। দ্বিতীয় তালিবানি জমানাতেও আফগান মহিলাদের নিষ্ঠুরতম দমন -পীড়নের মুখে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করছেন মানববাধিকার কর্মীরা। কঠোর ধর্মীয় আইন এবং নৈতিকতার বিধিনিষেধে আফগান সমাজ থেকে ফের হারিয়ে যাবে মহিদের অস্তিত্ব, েমন ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে। 

810

তালিবানি আফগানিস্তানে পর্নোগ্রাফি ছিল কল্পনাতীত। কিন্তু মার্কিন দখলে আসার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে অনেকেই যৌন পেশায় নেমেছিলেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলি গত জুন মাসেই সতর্ক করেছিল, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের আগে পর্যন্ত কাবুলেই শয়ে শয়ে যৌনকর্মী ছিল।
 

910

বসতবাড়ি, কফি শপ এবং বিউটি সেলুনের আড়ালে চলত অবাধ পতিতালয়। দ্য সান-কে জয়নাব নামে এক আফগান যৌনকর্মী জানিয়েছেন, তার ছোট ভাই অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তিনি পতিতাবৃত্তির দিকে ঝুঁকেছিলেন। নইলে তার পাঁচ ভাইবোন না খেতে পেয়ে মরত। ২০ বছরের ওই তরুণী প্রতি সপ্তাহে তিনজন পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী হতেন। প্রতি ক্লায়েন্টের কাছ থেকে জুটত ২,০০০ আফগানি করে। 
 

1010

আফগানিস্তানে বর্তমানে, ই মহিলারাই সবচেয়ে বিপদে রয়েছেন। েমনিতেই ক্ষমতায় আসার পর থেকে তালিবান স্কোয়াড সদস্যরা প্রত্যেক বাড়ি বাডি় গিয়ে ১২ বছর বয়সী শিশুদের অপহরণ করছে বলে শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এক মহিলাকে তারা পুড়িয়ে মেরেছে, কারণ তার রান্না তাদের পছন্দ হয়নি। তালিবানরা প্রথমবার ক্ষমতায় থাকার সময় েক মধ্যযুগীয় শাসন জারি রেখেছিল। বিবাহ বহির্ভুত যৌন সম্পর্কের জন্য নারীদের শাস্তি ছিল হত্যা। 
 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos