আফগানিস্তানের রাজপথে নিজের অধিকার বুঝে নেওয়ার দাবি একদল মহিলা তালিবনদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। তালিবানদের বন্দুকের সামনে নিজেদের জীবন হাতে নিয়ে অধিকারের লড়াইতে সামিল হয়েছে। তখনই ঠিক সামনে এল অন্য ছবি। যেখানে সম্পূর্ণ বোরখায় ঢেকে একদল মহিলা তালিবানদের সমর্থনে পথে নেমেছে। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা তালিবানদের বন্দুকের নিরাপত্তার ঘেরাটোপে জানিয়ে দেয় বোরখা প্রথায় আর তালিবানদের নীতিতে পুরোপুরি সায় রয়েছে তাদের।
. তালিবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই অধিকার হারানোর আশঙ্কায় ভুগছিলেন মহিলারা। ক্ষমতা দখলের পর তালিবারা মহিলাদের জন্য বেশ কয়েকটি নিদান দেন। যা মেনে নিতে না পেরে পথে নামে এক দল অফগান মহিলা
210
তালিবানরা মহিলারদের শিক্ষার জন্য কতগুলি শর্ত চাপায়- হিজাব নয় বোরখায় মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে রেকে তবেই যেতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য আলাদা ক্লাসরুমের ব্যবস্থা। মহিলাদের বাইরে বার হতে গেলে তাদের সঙ্গে একজন পুরুষ থাকা বাধ্যতামূলক।
310
তালিবানদের এই নীতি সমর্থন করেই শনিবার কাবুলে তালিবানদের সমর্থনে পথে নামে এক দল মহিলা। প্রায় ৩০০ মহিলা তালিবানদের প্রতি সমর্থন জানায়। বন্দুকধারী জঙ্গিদের সঙ্গে নিয়েই মিছিল করে তারা।
410
তালিবান সমর্থনকারী ৩০০ মহিলা নিজেদের সম্পূর্ণভাবে বোরখার আড়ালেই রাখে। সেই অবস্থায় মিছিল করে, সেমিনারে অংশ নেয়, পাতাকা উত্তোলন করে। একই সঙ্গে তারা পশ্চিমের দেশগুলির বিরুদ্ধে সরব হয়। কট্টর ইসলামপন্থীদের নীতি সমর্থন করে।
510
মুষ্টিমেয় কিছু মহিলা নীল বোরখা পরলেও অধিকাংশ কালো বারখা পরেছিল। অধিকাংশেই মুখ পুরো ঢাকাছিল। চোখের কাছে জালি দেওয়া ছিল দেখার সুবিধের জন্য। অনেকে আবার কালো গ্লাভস পরেছিল।
610
রাজধানী কাবুলের শহীদ রব্বানি এডুকেশন ইউনিভার্সিটিতে আফগান মহিলাদের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। মঞ্চে তালিবানদের পাতাকা ছিল। তালিবানপন্থী এই মহিলারা তালিবানবিরোধী মহিলাদের তীব্র সমালোচনা করে। তাদের দাবি তালিবানদের এই নীতি পুরোপুরি সমর্থন যোগ্য। আগের সরকার মহিলাদের যোগ্যতা দেখেনি। সৌন্দর্য দেখেই কাজ দিয়েছিল। সমর্থনকারীরা জানিয়েছে, তারাই আসল আফগান মহিলাদের প্রতিনিধি।
710
আফগান শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানান গয়েছিল যারা বিক্ষোর আয়োজন করেছিল তারা সকলেই মহিলা। তারা আবেদন করেছিল বলে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি মহিলাদের নিরাপত্তার দিকেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছিল।
810
অনুষ্ঠানে প্রায় ৩০০ মহিলা ছিল। কিন্তু সকলেই প্রাপ্ত বয়স্ক নয়। সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী বেশ কয়েকজন কিশোরী ও শিশুও ছিল। যারা অনুষ্ঠানের মধ্যেই মাঝে মধ্যে কান্নাকাটি করছিল। তাদেরও বোরখা পরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল।
910
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মহিলারা জানিয়েছে তালিবান সরকারকে রক্ষা করার জন্য তারা সবরকম সহযোগিতা করবে। তালিবান আমলে মহিলারা নিরাপদে থাকবে বলেও তারা দাবে করে। তালিবানপন্থীদের ব্যানারে লেখা ছিল আফগান ছেড়ে যাওয়া মহিলারা তাদের প্রতিনিধি নয়।
1010
প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর এবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে কাবুল বিমান বন্দর। চালু হচ্ছে উড়ান পরিষেবা। কিন্তু তালিবানদের বন্দুকের ডগায় কাজ করতে ভয় পাচ্ছে কাবুল বিমান বন্দরে কর্মরত মহিলারা। তারা এখনও কাজে ফেরার বিষেয় কোনও স্থির সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।