একদিকে আইপিএলে উড়ছে কোটি টাকা, অন্যদিকে অভাবে 'দেশি মদ' বিক্রি করে পেট চালাচ্ছেন স্বর্ণপদক জয়ী ক্রীড়াবিদ

Published : Nov 07, 2020, 04:58 PM ISTUpdated : Nov 07, 2020, 04:59 PM IST

করোনা আবহে আইপিএল না হলে ৪ হাজার কোটি টাকার লোকসান হত বিসিসিআইয়ের। লোকসান এডানোর জন্য আরব দেশে হচ্ছে প্রতিযোগিতা। কোটি কোটি টাকা উড়ছে ভারতের কোটিপতি লিগকে কেন্দ্র করে। দেশ তথা বিদেশের নামি-অনামি প্রচুর প্লেয়ার রোজগার করছেন কোটি টাকা। ঠিক তখন দেশের এক প্রান্তে অভাবের তারনায় নিজের সমস্ত মেডেলে  ও সার্টিফিকেট সরিয়ে রেখে, মদ বিক্রি করছেন আন্তর্জাতিক স্তরে স্বর্ণপদক জয়ী এক মহিলা ক্রীড়াবিদ। দেশকে তথা রাজ্যকে একাধিকবার সম্মানিত করেছেন ঝাড়খণ্ডের ক্যারাটে খেলোয়ার বিমলা মুন্ডা। দেশকে আন্তর্জাতিক স্তরে সোনার পদক এনে দিয়েছেন তিনি। জাতীয় স্তরে জিতেছেন অনেক পদক। কিন্তু জোটেনি কোনও সরকারি চাকরি। করোনা মহামারী ও লকডাউনের জেরে অভাবের তাড়নায় দেশি মদ হাঁড়িয়া বিক্রি করে সসার চালাচ্ছেন বিমলা।

PREV
17
একদিকে আইপিএলে উড়ছে কোটি টাকা, অন্যদিকে অভাবে 'দেশি মদ' বিক্রি করে পেট চালাচ্ছেন স্বর্ণপদক জয়ী ক্রীড়াবিদ

২০১১ সালে ৩৪ তম জাতীয় গেমসে ঝাড়খণ্ডের হয়ে রূপো জিতেছিলেন বিমলা। ২০১২ সালে চতুর্থ আন্তর্জাতিক ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে সোনাও জিতেছিলেন তিনি। 

27

করোনাভাইরাসের ফলে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা। তাদের মধ্যে রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের ক্যারাটে খেলোয়ার বিমলা মুন্ডাও।

37

অভাবের সংসারে তাই ক্যারাটে বাধ্য হয়ে বন্ধ রাখতে হয়েছে বিমলাকে। সংসার চালানোর কোনও উপায় না পেয়ে শেষ পর্যন্ত দেশি মদ হাঁড়িয়া বিক্রি সংসার চালাচ্ছেন তিনি।
 

47

কিন্তু এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। কারণ ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক  ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতার পর সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার।
 

57

কিন্তু প্রতিশ্রুতিই সার। এখনও চাকরি জোটেনি বিমলার। তাই ক্যারাটের মেডেল, সার্টিফিকেট সব সরিয়ে রেখে এখন জীবন সংগ্রামে টিকে থাকতে দেশি মদ বিক্রি করছেন তিনি।

67

ঘর ভর্তি বিমলার মেডেল সার্টিফিকেট। স্পনসর সমস্যা প্রথম থেকেই ছিল। তারপরও কষ্ট করে চালিয়ে যাচ্ছিলেন সবকিছু। স্বপ্ন দেখতেন বড় কিছু করার। কিন্তু সেই ভবিষ্যত এখন অনিশ্চিত।
 

77

এই ঘটনা ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে সামনে আসার পর যদিও নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন জানিয়েছেন, এক মাসের মধ্যে বিমলার হাতে সরাসরি নিয়োগপত্রের তুলে দেওয়া হবে। এখন সুদিন ফেরার অপেক্ষায় বিমলা। 

click me!

Recommended Stories