আজ থেকে খুলে গেল কালীঘাট মন্দির, সকাল থেকেই ফুলের ডালি হাতে ভক্তদের ভীড় গর্ভগৃহে

রাজ্যে করোনা বিধি নিষেধের মধ্যেই শনিবার থেকে খুলে গেল কালীঘাট মন্দিরের গর্ভগৃহ। নির্দিষ্ট সময়ে খোলা থাকবে মন্দিরের গর্ভগৃহ। সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এবং বিকেলে ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে গর্ভগৃহ।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে কার্যত লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর গত ১৫ মে কালীঘাটের মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ লাগামছাড়া করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন ভক্তরাও। সেই আশঙ্কাতেই কালীঘাট সহ বাংলার প্রায় সব মন্দিরই বন্ধ থাকে। তবে এদিন বদলাল ছবিটা।

রাজ্যে করোনা বিধি নিষেধের মধ্যেই শনিবার থেকে খুলে গেল কালীঘাট মন্দিরের গর্ভগৃহ। সকাল থেকেই ভক্তের লম্বা লাইন কালীঘাট মন্দির চত্বরে। সমস্ত বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রার্থনা নিয়েই মায়ের দর্শনে উন্মুখ ভক্তরা।

মন্দির খুলতেই পুজোর বাজার নিয়ে কেনাকাটির ভীড়। তবে বেশিরভাগের মাস্ক নামল নাকের নীচে। পান্ডারা ভক্ত পাবার অধীর অপেক্ষায়।

দুদিনের টানা বৃষ্টি শেষ। দক্ষিণ কলকাতার আকাশ এখন মেঘলা হলেও আগের থেকে পরিষ্কার। মন্দির খুলতেই খুশির বাতাস চারিদিকে।

তবে যেহেতু অতিমারির সময়, তাই কোনও ভাবে মাস্ক ছাড়া মন্দিরে ঢোকা যাবে না বলে নির্দেশ মন্দির কর্তৃপক্ষের। এক সঙ্গে ১০ জন দর্শনার্থী মন্দিরে ঢুকতে পারবেন।

১০ জন পুজো দেওয়ার জন্য সময় পাবেন ২ মিনিট। তারমধ্য়েই পার্থনা সারতে হবে। কোভিড পরিস্থিতি চলছে বলেই এই কড়াকড়ি।

এখন রাজ্যে করোনার দাপট অনেকটাই কম। তবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কয়েকটি এলাকা। আর সেই কারণে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত জারি রয়েছে বিধিনিষেধ।

মাস্ক পরা, স্যানিটাইজারের ব্যবহার এবং যতটা সম্ভব শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার দিকটি তারা কড়া ভাবেই নজরে রাখছে। মন্দিরের ভিতরে পুলিশ, নিরাপত্তা রক্ষী, মন্দির কমিটির লোকজনও রয়েছেন। ছবিতে ভক্তের খোঁজে দাঁড়িয়ে পাণ্ডা।

সকলে যৌথ ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাতৃদর্শনের ব্যবস্থা করছে। শহরের তরুণীরা পুজোর আগে জিনিসপত্র কিনতে ব্য়স্ত। সাতসকালেই দারুণ পরিবেশ কালীঘাট মন্দির চত্বরে।