নিজেদের জীবন বিপন্ন করে সাধারণের পাশে কলকাতা পুলিশ, দেখুন সেরা ১২টি ছবি
করোনা রুখতে রাজ্য় জুড়ে চলছে লকডাউন। আর তারই মধ্য়ে জরুরী পরিষেবার জন্য়ই শুধু বাইরে যাওয়া যেতে পারে। অনেকেই তাই সাতসকালে বাজারঘাট সেরে নিচ্ছেন। কিন্তু এ শহরের শিকড় সেই সব প্রবীণ মানুষজন যারা বাইরে বেরোতে সক্ষম নন। এদিকে একাকী ছেলেমেয়ে ছাড়াই দিন কাটাচ্ছেন। সারাবছর হয়েতো তাদের অন্য় কারও উপর নির্ভর করে চলতে হয়। তবে এই লকডাউনে সেই নির্ভর করা কাজের মানুষগুলি বাইরে আসতে পারছে না। তাই এবার সাহায্য়ের হাত এগিয়ে দিল কলকাতা পুলিশ প্রশাসন। পাশাপাশি শহরের দুঃস্থ মানুষরাও পেল এই সাহায্য়ের হাত, পরম ভালবাসায়। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুলবাগান থানার তরফে ১৫০০ জনের, নারকেলডাঙা থানার তরফে ২৩০ জনের, এন্টালি থানার তরফে ৩৩৬ জনের এবং ট্যাংরা থানার তরফে ২৪০ জনের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অপরদিকে, শহরের নাইট শেল্টারগুলিতে থাকা নাগরিকদের খাবারের ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পৌরসভা।
Ritam Talukder | Published : Mar 29, 2020 4:15 AM IST / Updated: Mar 29 2020, 09:58 AM IST
শহরের অসহায় প্রবীণ নাগরিকের কাছে সাহায্য়ে হাত পৌছে দিলেন কলকাতা পুলিশ।
লকডাউন পরিস্থিতি কেউ নেই তাদের কে সাহায্য়ে করার, তাই মানবিক উদ্য়োগ নিল এবার পুলিশ প্রশাসন
শহরের নানা প্রান্তে কোনও না কোনও সমস্যায় থাকা মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে কলকাতার বিভিন্ন থানা।
মানিকতলা থানার পুলিশ যেমন ফুটপাথবাসীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা যেমন করেছে। পাশাপাশি সেখানের প্রবীণ মানুষদেরও ওষুধ- প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দিয়ে সাহায্য় করেছে।
নারকেলডাঙা, এন্টালি, বউবাজার, ফুলবাগান থানা বিভিন্ন এলাকার গরিব মানুষদের কাছে খাবার পৌঁছে দিয়েছে।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের হাতে শুকনো খাবার তুলে দেন বেলেঘাটার থানার অফিসাররা।
হেয়ার স্ট্রিটের মেহতা বিল্ডিংয়ে ওষুধ অমিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেখানে আলাদা করে পুলিশ মোতায়েন করেছে হেয়ার স্ট্রিট থানা। দোকানের কর্মীদের জন্য পাস ইস্যু করা হয়েছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত তাঁদের এই উদ্যোগ জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশকর্তা।
সল্টলেকের প্রবীণ নাগরিকদের কাছে খাদ্যসামগ্রী থেকে ওষুধ পৌঁছে দিয়েছেন কলকাতা পুলিশ। পাশাপাশি প্রায় ৬০০টি পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে।
রাস্তা ইতস্তত ঘুড়ে বেড়ানো দুঃস্থ মানুষদের হাতেও পরম ভালবাসায় প্রয়োজনীয় তুলে দিচ্ছেন কলকাতা পুলিশ।
কলকাতার বস্তি এলাকায় বসবাসকারী প্রবীণদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হবে। তালিকা দেখে প্রতিদিন ফোন করা হবে তাঁদের। শারীরিক কোনও সমস্যা হলেই হাসপাতালে ভর্তির বন্দোবস্ত করা হবে।
শহরের অলিগলি , পুলিশ কিয়স্কের পাশেই ওদের রাত কাটে। লকডাউনে তাদের কাউকেই ভোলেনি কলকাতা পুলিশ।