গাঙ্গেয় উপত্যকা অঞ্চলে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের জেরে প্রবল বৃষ্টিপাত। শুক্রবার দুপুর থেকে ভারী বর্ষণের প্রভাবে ভাসল কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলা। শহরের বুকে জল জমে বিপর্যস্ত যান চলাচল, নাজেহাল শহরবাসী। দুপুর থেকেই আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামে। মুহুর্তে কমে যায় তাপমাত্রার পারদ। সন্ধ্যের পর বৃষ্টির পরিমাণ কম হলেও জল জমে থাকার দরুণ ব্যহত হয় যানচলাচল। আগামী ৪৮ ঘন্টায় একই ভাবে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও দেওয়া হল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে। এদিন সন্ধ্যের পর বদলে যায় কলকাতার স্বাভাবিক চিত্র। চলতি বছর বর্ষার মরশুমে এই প্রথম ভারী বর্ষণ হল দক্ষিণবঙ্গে।
আলিপুরে নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি হয় ৪৯ মিলিমিটার। মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার ফলেই আরও জোরাল হয় নিম্নচাপের প্রভাব।
ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি এলাকায় বর্ষার মরশুমে প্রতিবারই থাকে হাঁটু জল। শুক্রবারের টানা দুঘন্টায় এখানে বৃষ্টি হয় ২২ মিলিমিটার। যার জেরে যানচলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
কলকাতা করপোরেশন ও নিউমার্কেট এলাকাতে বৃষ্টি হয়েছে ৩৯ মিলিমিটার। বেশ কিছু এলাকাতে জল জমে যাওয়া নিয়ে এদিন কলকাতা মেয়র বৈঠক করেন, এবং বিভিন্ন উপায় জল নিকাশির দিকে কড়া নজরও দেন তিনি।
আলিপুর কোর্টেও এদিন জল জমে যায়। ৭২.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে এই অঞ্চলে। অফিস ফিরতি মানুষের নাজেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয় এই বৃষ্টির জেরে।
রাসেল স্ট্রিটের ছবিটাও একই রকমের ছিল। এখানেও টানা দুঘন্টার বৃষ্টির জেরে জল জমে রাস্তায়। শুক্রবার এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমান ছিল ২৯ মিলিমিটার।
কলেজস্ট্রীট এলাকা শুক্রবার সন্ধ্যে পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমান ছিল ১৯ মিলিমিটার। এই অঞ্চলে সামান্য বৃষ্টিপাতেই জল জমে যায়। এদিনের ভারী বর্ষণের ফলে আমহার্স্ট্রীট এলাকায় জল দাঁড়িয়ে যায়। ব্যহত হয় যান চলাচল।