দেশজুড়ে করোনা আতঙ্কের মধ্যে লকডাউনের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। সারা বিশ্বে এই লকডাউন চলাকালীন সকলেই ঘরবন্দি। একটানা দীর্ঘ ২১ দিনের লকডাউনে প্রত্যেকেই নিজেদের মতোন করে সময় কাটাচ্ছেন। অনেকেরই এই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এমন কিছু সম্পর্ক রয়েছে যেখান থেকে শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে খনিকের শান্তি মিললেও একটা সময় পরেও তা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তখনই অন্য কোনও অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। একটানা বাড়িতে থাকতে গিয়েই ঘটছে বিপত্তি। প্রকাশ্যেই পর্দাফাঁস হয়ে যাচ্ছে পরকীয়ার। সেখান থেকেই অশান্তি। এই কদিনে অনেকেই হয়তো এই পরিস্থিতিতে পড়েছেন। কীভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলার করবেন। আর কীভাবেই বা সুখী দাম্পত্য জীবনে ফিরবেন, রইল সমাধানের উপায়।
Riya Das | Published : Apr 2, 2020 11:48 AM IST / Updated: Apr 02 2020, 05:20 PM IST
এই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে গিয়ে অনেককেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। স্ত্রী কিংবা স্বামীর সামনে প্রকাশ্যেই পর্দাফাঁস হয়ে যাচ্ছে পরকীয়ার।
এই সমস্যায় পড়লে সবার প্রথমেই মিথ্যা বলে ভুল করতে যাবেন না, এতে সমস্যা সমাধান তো হবেই না উল্টে সমস্যা আরও বাড়বে।
সম্পর্কে কেন জড়িয়েছিলেন সেই কারণটা বোঝার চেষ্টা করুন। বেশিরভাগ সময়েই দেখা যায় দাম্পত্য জীবনে বিশেষ কোনও সমস্যার কারণে বা কোনও বিবাদের জেরেই অন্য সম্পর্কে পা রাখেন যে কোনও ব্যক্তি।
সেক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
পরকীয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে যখন এসেই পড়েছে তাই সেটা নিয়ে অযথা ঝামেলা না বাড়িয়ে নিজের জীবনসঙ্গীকে বলে দিন।বিষয়টি দশ কান হওয়ার থেকে নিজের মুখেই সবটা বলুন।
তবে সম্পর্ক শেষ করার আগে তাকেও সত্যিটা জানিয়ে দিন। সম্পর্ক থেকে একবার বেরিয়ে গেলে আবেগপ্রবণ ভাবে কখনও যোগাযোগ রাখবেন না এটা নিজের মনে আগে স্থির করুন। সব ভুলে সংসারে, নিজের সঙ্গীকে মন দিন।
ছেলে হোক বা মেয়ে যেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তাকেই সবার আগে দোষারোপ দেওয়া হয়। কিন্তু একে অপরকে দোষ না দিয়ে কেন পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন সেই কারণটি খোঁজার চেষ্টা করুন।
মাঝে মাঝে সঙ্গীকে সারপ্রাইজও দিতে পারেন। এতে সম্পর্কটা ধীরে ধীরে ঠিকও হয়ে যেতে পারে।
অনেকসময়েই দেখা যায় সঙ্গী পরকীয়া থেকে বেরিয়ে আসলেও সেই বিশ্বাসটা আর ফেরে না। কিছু করুক বা নাই করুন সবসময় সন্দেহের তির তার দিকেই থাকে।
এই সমস্যাটা খুবই খারাপ। তাই নতুন করে বিশ্বাস করানো খুব কঠিন। তাই যতটা সম্ভব দুজনেই সবকিছু খোলাখুলি আলোচনা করুন। আলোচনার মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি সমাধান মেলে।