অতিরিক্ত সঙ্গমে আসক্ত হয়ে পড়েছেন, চরম তৃপ্তি পেতে গিয়ে অজান্তেই ক্ষতি করছেন না তো নিজের
শারীরিক তৃপ্তি মেটাতে ভালবাসার প্রথম ধাপই হল চুম্বন। গাঢ় চুম্বনেই অজান্তে বাসা বাধছে জটিল রোগ। গভীর চুম্বনে গণোরিয়া রোগের শিকার হতে পারেন আপনি। যৌন মিলনে সঙ্গিনীকে খুশি করতে সবার আগে সর্তক হোন।
সঙ্গিনীকে আনন্দ দিতে এবং শারীরিক তৃপ্তি মেটাতে ভালবাসার প্রথম ধাপই হল চুম্বন। শুরুর দিকে গালে, কপালে ঠোঁটে আলতো করে চুম্বন দিলেও যত দিন যেতে থাকে ততই যেন তার গভীরতা বাড়তে থাকে। ঠোঁটের গাঢ় চুম্বনই উস্কে দেয় যৌনতাকে।
যৌনতার শুরুই হয় এই চুম্বন দিয়ে। চুম্বন নিয়ে অনেকেরই অনেকরকমের আসক্তি থাকে। সমীক্ষায় দেখা গেছে গাঢ় চুম্বন অর্থাৎ ফ্রেঞ্চ কিসেই সবথেকে বেশি তৃপ্তি খুঁজে পায় যুবক যুবতীরা।
কিন্তু এটা জানেন কি এই ভালবাসাই সর্বনাশের কারণ হয়ে উঠতে পারে। গাঢ় চুম্বনেই অজান্তে বাসা বাধছে জটিল রোগ।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, একটানা গভীর চুম্বনে গণোরিয়া রোগের শিকার হতে পারেন আপনি। ফ্রেঞ্চ কিস করলে সেই ভয় অনেকটাই বেশি থাকে। কারণ এই গভীর চুম্বন থেকেই যৌন মিলনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কঠিন রোগ।
একবার এই কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লে কোনও অ্যান্টিবায়োটিকেও তা কাজ করে না। তাই চুম্বনের আগে সাবধান। তবে শুধু গণোরিয়াই নয়, আরও বিভিন্ন রোগও বাসা বাধতে পারে এই ফ্রেঞ্চ কিসের মাধ্যমে।
সঙ্গিনীর ঠান্ডা লেগে গেলে সেই সময় চুম্বন করলে আপনার শরীরেও সেই ভাইরাস ঢুকে পড়তে পারে। কারণ ফ্রেঞ্চ কিসের মাধ্যমে নাক ও গলায় বাসা বাঁধা ব্যাকটেরিয়া আপনার শরীরেও ঢুকে পড়তে পারে।
এছাড়াও হাঁচলে বা সর্দি হলেও একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে স্ট্রেপ রোগ। এটি এমনই একটি রোগ, যা থেকে মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে। ফ্রেঞ্চ কিস করলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
চুম্বন থেকে হতে পারে মোনোনিউক্লেওসিস। আপনার সঙ্গিনীর ঠোঁটের কোনও জায়গা কেটে গেলে সেই অবস্থায় চুম্বন করলেও হেপাটাইটিস বি-সংক্রমন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে যৌন মিলনে সঙ্গিনীকে খুশি করতে সবার আগে সর্তক হোন। তাই চুম্বন করার আগে সাবধানতা বজায় রেখে মিলিত হন। সমস্যায় পড়লে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।