যৌনক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি একাধিক শারীরিক সমস্যার একমাত্র সমাধান, কাজ করবে ম্যাজিকের মতো
আমাদের প্রায় সকলেরই রান্নাঘরে কালোজিরে খুবই পরিচিত একটি মশলা। রান্নার ক্ষেত্রে নানাভাবে এই মশলা ব্যবহার করা যায়। তবে জানলে অবাক হবেন শুধু রান্নার স্বাদ বাড়তে নয়, এর পাশাপাশি শারীরিক নানা সমস্যার সমাধানে কালোজিরের গুরুত্ব অপরিসীম। যৌন দুর্বলতার সমস্যা থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি সবেতেই এই মশলা হিট। চলুন জেনে নেওয়া যাক কালোজিরে ব্যবহারের কিছু উপকারিতা।
বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ নিরাময় করতে কালোজিরা ব্যবহার করা যায়। এক্ষেত্রে ত্বকের আক্রান্ত স্থানে কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে হবে। এর পাশাপাশি কালোজিরার তেলের সঙ্গে সমপরিমাণ কাঁচা হলুদের রস এবং মধু মিশিয়ে নিয়মিত খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
কালোজিরার তেল হার্টের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। ১ কাপ দুধের সঙ্গে ১ চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে হবে। এতে সহজেই হার্টের সমস্যা থেকে দূরে থাকা যাবে এবং হার্টও ভালো থাকবে।
যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও কালোজিরের জুড়ি মেলা ভার। এক্ষেত্রে কালোজিরার সঙ্গে অলিভওয়েল এবং মধু মিশিয়ে নিন। এবারে এই মিশ্রণ নিয়মিত সকালে কিছু খাবার খাওয়ার পর ১ চামচ করে খান। এতে নতুন করে যৌনশক্তি ফিরে পাবেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কালোজিরা খুবই উপকারী। নিয়মিত কালোজিরার তেল এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এতে শরীরে সহজে জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে না। শরীরও সতেজ থাকে।
আপনি যদি বাতের ব্যাথার সমস্যায় কষ্ট পান, তাহলে কালোজিরে ব্যবহারে উপকৃত হবেন। এক্ষেত্রে কালোজিরের তেলের সঙ্গে হলুদ বাটা যোগ করে মিশ্রণ তৈরি করুন। এবারে ওই মিশ্রণ বাতের ব্যাথার স্থানে নিয়মিত মালিশ করুন। কাজ করবে ম্যাজিকের মতো।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে জলের সঙ্গে ১ চামচ কালোজিরে মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এটি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণ করে। যার ফলে খুব সহজেই ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
মাথার চুল পড়া বন্ধ করতেও কালোজিরা কাজে লাগে। চুলের গোঁড়ায় নারকেল তেলের সঙ্গে কালোজিরের তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
অনেকেই মাঝে মধ্যেই মাথা ব্যাথার সমস্যায় কষ্ট পান। যেকোনও সময় মাথা ব্যাথার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কালোজিরের তেল সঙ্গে রাখুন। মাথা ব্যাথা করলে ওই তেল কপালে এবং কানের চারপাশে মালিশ করুন। এতে সহজেই মাথা ম্যাথার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
কালোজিরে শরীরে জমে থাকা চর্বি গলিয়ে তা মল এবং মুত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। টানা ২ মাস নিয়মিত কালোজিরে খেলে খুব সহজেই শরীরের অতিরিক্ত ওজনকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।