ক্রীড়া ক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়ার জন্য অনেকেই অনেক কিছু করে থাকেন। ম্যাচের আগে কেউ করেন শেষ মুহূর্তের অনুশীলন কেউ আবার মানেন কোনও অন্ধবিশ্বাস। কিন্তু এবার ম্যাচের আগে যৌন সম্পর্ক করে সাফল্যের কাহানি শোনালেন রাশিয়ার অলিম্পিক সোনা জয়ী সুইমার আলা শিশকিনা।
Sudip Paul | Published : Aug 20, 2021 12:03 PM IST / Updated: Aug 20 2021, 05:36 PM IST
২০১২ ও ২০১৬ অলিম্পিকেও সোনা জিতেছিলেন রাশিার সুইমার আলা শিশকিনা। টোকিও ২০২০-তে সোনা জিতে হ্যাটট্রিক পূরণ করেছেন বিশ্বখ্যাত এই তারকা সুইমার।
টানা তিনবার সোনা জয়ের পর এক সাক্ষাৎতাকে আলা শিশকিনা জানালেন তার এই ধারবাহিক সাফল্যের চাবিকাঠি কী। কঠোর অনুশীলন ও নিয়মিত পরিশ্রম তো বটেই, এছাড়াও শিশকিনা বলেছেন ম্য়াচের আগে উদ্দাম যৌনসম্পর্ক তার সাফল্যের অন্যতম কারণ।
বিশ্বের সেরা অ্যাথলিটদের মধ্যে একজন।রাশিয়ার এই অলিম্পিয়ান প্রতিযোগিতায় নামার আগে সেক্স না করে ম্য়াচে নামতেন না বলে জানিয়েছেন ওই সাক্ষাৎকারে। তবে শুধু শারীরিক সুখ নয়, এই বিজ্ঞাভিত্তিক কারণও জানিয়েছেন শিশকিনা।
আলা জানিয়েছেন, নিজের সেরা পারফরম্যান্স দেওয়ার জন্য তিনি প্রত্যেক ম্যাচের আগে সেক্স করা বাধ্যতামূলক বলেই মনে করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই পদ্ধতি অবলম্বন করছেন ও সাফল্যও পেয়েছেন।
পরপর ৩ বার অলিম্পিকে সোনা জয়ীন সুইমার এ বিষয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েছেন। রাশিয়ার অলিম্পিয়ান আলা শিশকিনা সেক্সকে একপ্রকার শারীরিক কসরৎ বলেই মনে করছেন।
শিশকিনা বলেছেন, 'আমি বিজ্ঞান, গবেষণা এবং চিকিৎসকদের পরামর্শের উপরে যথেষ্ট বিশ্বাস করি। আমি এই ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডেনিসের সঙ্গে আলোচনা করেই এই পদক্ষেপ নিয়েছি।
আলার কথায়, কোনও ম্যাচের আগে সেক্স করলে মাসল স্ট্রেংথ অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া টেস্টোস্টেরন হরমোনও কোনও খেলোয়াড়কে আরও পজিটিভ করে তুলতে পারে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ম্যাচের আগে যৌনসম্পর্ক ক্রীড়াবিদদের আরও আক্রমণাত্মক করে তুলতে পারে। টেস্টোস্টেরন হরমোন ক্ষয় হলে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। ফলে নিজের ইভেন্টে সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়।
তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই এই পথ অবলম্বন করার কথা বলেছেন আলা শিশকিনা। কারল কথায়, যদি আপনাকে পেশাদার খেলাধুলোয় নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে হয়, সেক্ষেত্রে সেক্স ছাড়া ভালো পন্থা থাকতে পারে না। তবে প্রত্যেককে নিজের শরীরের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই প্রত্যেকটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত।
আলা শিশকিনার এই বক্তব্য ও উপায় নেট দুনিয়ায় রীতিমত ঝড় তুলে দিয়েছে। টানা তিনবার অলিম্পিকে সোনা জয়ীর এই বক্তব্যকে একে বারে ফেলেও দিতে পারছেন না কেউ। তবে আগামি দিনে শিসকিনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কেউ এই পথ অবলম্বন করে কিনা সেটাই দেখার।