বছর শেষের ভ্রমণ, সিকিম থেকে ডুয়ার্স, স্বল্প বাজেটে ৫ দিনের ট্রিপ প্ল্যান
সারা বছর ধরে ঘরে বন্দি আট থেকে আশি। বছর শেষে এ যেন খানিক ছাড়পত্র। তাই সকলেই পা বাড়িয়েছে এবার ভিন জগতের পথে। কারুর তালিকায় পাহাড়, কেউ আবার বেড়িয়ে পড়ছে সমুদ্রের পথে। বছরের শেষ সপ্তাহে কোথায় যাওয়া যেতে পারে ভাবছেন! ঘুরে আসুন চেনা শহর...
পেলিং- সিকিম অনেকের কাছেই এক ভিন্ন স্বাদের ডেস্টিনেশন। যেখানে একাধিক জায়গায় এক এক রকমের ভিউ সাধারণের মনে ঝড় তোলে। পেলিং হল কাঞ্জনজঙ্ঘা দেখার জন্য সেরা ঠিকানা। সেখানেই কয়েকটা দিন ঘুরে আসা যেতেই পারে। লাগবে ট্রাভেল পাস। সঙ্গে আগে থেকে যদি বুকিং করা থাকে মিলবে সুবিধে। চেষ্টা করা উচিৎ আপার পেলিং-এই থাকা। সেখান থেকে ভিউ খুব সুন্দর পাওয়া যায়। খরচ মাথা পিছু ১০ হাজার টাকা ধরে রাখা যেতে পারে।
গ্যাংকট- গ্যাংটক হল হার্ট অব দ্য সিকিম। এখান থেকে ছাঙ্গু, নাথুলা বা লাচুং লাচেন যাওয়া যায়। কিন্তু বরফ পড়ে সে সব রাস্তা বন্ধ। এখন রোপওয়ে করে ভ্রমণ মিলবে, মিলবে সাত পয়েন্ট ঘুরে দেখার সুযোগ। তবে হোটেল ভালো করে দেখে নেওয়া প্রয়োজন। সবে খুলেছে সিকিমের দরজা, তাই বেশ কিছু হোটেলে এখনও পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। খরচ মাথা পিছু ১০ হাজার টাকা ধরে চলাই যেতে পারে।
দার্জিলিং- বাঙালির স্বপ্নের জায়গা দার্জিলিং। বারে বারে সেখানে ফিরে যেতে প্রস্তুত সকলেই। তাই দার্জিলিংকে তালিকায় রাখতেই পারেন। এখন খরচ বেশ কিছুটা কম। সবাই মিলে গেলে এবং সেখানে থাকা ম্যালের ধারে বাঙালি হোটেলে খেলে মাথা পিছু ৬.৫০০ টাকাতেও ঘুরে আসা যাবে দার্জিলিং।
পুরী- পুরীকে ঠিক বড় ট্রিপ বলা যায় না হয় তো। তবে এবার পুরী গেলে অবশ্যই ঘুরে আসুন চিসকা ও মগলা ঝুরি। শীতের সময় এখানে পরিযায়ী পাখীদের ভিড় জমে। খরচ পড়বে সব মিলিয়ে মাথা পিছু ৫০০০ থেকে ৬০০০ টাকা।
ডুয়ার্স- শীতের মরসুমে ডুয়ার্স ভ্রমণ বেশ ভালো লাগে। এই সময় বক্সা গেলে রংবাহারি প্রজাপতির দেখা মেলে। কপাল ভালো থাকলে দেখা মেলে বাঘ, হাতিরও। তবে ময়ুর পথ চলতে পাওয়া যাবে প্রচুর। জঙ্গল সাফারি স্পটে গিয়েই বুকিং করুন। তবে রিসর্ট আগে থেকে বুক করে রাখাই ভালো। মাথা পিছু খরচ থাকবে ৮০০০ টাকা।