নির্বাচনের আগেই মহামারির কালো মেঘ হোয়াইট হাউসে, করোনা নিয়ে পোস্ট করে বিপাকে ট্রাম্প

দোশরা অক্টোবর করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। মাত্র তিন দিন পরেই তিনি হাসপাতাল থেকে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসেন। 

হাসপাতালে থাকাকালীনও প্রচারে বেরিয়ে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যা নিয়ে রীতিমত সমালোচনা করেন অনেকেই। মার্কিন বিশেষজ্ঞদের মতে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মবিধি ভেঙে বাইরে বেরিয়ে আনেককেই সংক্রমিত করতে পারেন ট্রাম্প। যদিও প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছিল প্রোটোকল মেনেই বেরিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট।  

এমনিতেই মাস্ক ব্যবহারের তীব্র বিরোধী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারওপর, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরেও হোয়াইট হাউসে মাস্কের ব্যবহার করেননি ট্রাম্প। 

নিজে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েও এই মহামারিকে সাধারণ ফ্লুএর সঙ্গেই তুলনা করেন ট্রাম্প। আর সেই নিয়ে একটি বার্তা ফেসবুক ট্যুইটারে পোস্টও করেন। 

তীব্র সমালোচনায় সেই পোস্ট সরিয়ে ফেলেন। বিরোধীদের অভিযোগ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় ব্যার্থ ট্রাম্প প্রশাসন। আর সেই কারণেই করোনাভাইরাসের মত ছোঁয়াচে রোগকে তিনি হালকাভাবে নিচ্ছেন। 

মঙ্গলবারই ট্রাম্পের একটি পোস্ট সরিয়ে দিয়েছিল ট্যুইটার। পাশাপাশি সতর্ক  করে বলা হয়েছিল করোনাভাইরাস নিয়ে বিভ্রান্তকর সোশ্য়াল মিডিয়াটির করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মবিধির পরিপন্থী। আগে ফেসবুকও ট্রাম্পের একটি ভিডিও সরিয়ে দিয়েছিল। যেখানে ট্রাম্প বলেছিলেন শিশুদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। 

অন্যদিকে  হোয়াইট হাউসে সোমবার থেকে একের পর এক আধিকারিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী স্টেফেন মিলার মঙ্গলবার রাতেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। 

ক্লেলি ম্যাকেনি, হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব। সোমবার রাত থেকে তিনি আক্রান্ত। যদিও তিনি জানিয়েছেন তাঁর কোনও উপসর্গ নেই। অন্যদিকে উপকূল রক্ষী বাহিনীর কমান্ড্যান্ট অ্যাডমিলার চার্লস রায় সোমবার থেকে আক্রান্ত।