নজরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ট্রাম্পকে গদিচ্যুত করতে জোট বাঁধছে চিন-রাশিয়া ও ইরানের হ্যাকাররা

সামনেই মার্কিন মুলুকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই নির্বাচনে কী হতে চলেছে তা নিয়েই সরগরম গোটা আমেরিকা। ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় ফিরবেন নাকি বাইডেন হবেন দেশের নতুন প্রেসিডেন্ট তা নিয়ে চলছে জোড় আলোচনা। এর মধ্যেই এক বিস্ফোরক দাবি করল মার্কিন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান  মাইক্রোসফট। রাশিয়া, চিন ও ইরানের হ্যাকাররা ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বলে রিপোর্ট দিয়েছে মাইক্রোসফট।

Asianet News Bangla | Published : Sep 11, 2020 7:24 AM IST / Updated: Sep 11 2020, 01:06 PM IST
112
নজরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ট্রাম্পকে গদিচ্যুত করতে জোট বাঁধছে চিন-রাশিয়া ও ইরানের হ্যাকাররা

আর দুই মাসও বাকি নেই। আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা আমেরিকায়। তার আগে বড়সড় থ্রেটের কথা জানালো বিশ্ববিখ্যাত মার্কিন সাইবার কোম্পানি মাইক্রোসফট। 

212

মাইক্রোসফটের বক্তব্য, রাশিয়া, ইরান এবং চিনের হ্যাকাররা ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জো বাইডেন দু'জনের নির্বাচনী প্রচারই হ্যাক করার চেষ্টা করছে।
 

312

মাইক্রোসফটের ভাইস প্রেসিডেন্ট টম বার্ট একটি টুইট করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে রাশিয়া, চিন এবং ইরানের হ্যাকাররা মার্কিন নির্বাচনের প্রচারের সাইটগুলি হ্যাক করার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, জো বাইডেন, ডনাল্ড ট্রাম্প সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির অ্যাকাউন্টও হ্যাক করার চেষ্টা হচ্ছে। হ্যাক করা হচ্ছে তাঁদের পরামর্শদাতাদের ডেটাবেসও।

412

টম বার্ট জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনের সময়েও রাশিয়ার জিআরইউ মিলিটারি ইনটেলিজেন্স ইউনিট ভোট প্রচারের বিভিন্ন সাইট হ্যাক করেছিল। ওই ইউনিটের কোড নেম ছিল 'ফ্যান্সি বিয়ার'। অভিযোগ, এ বছরেও ফ্যান্সি বিয়ার মাঠে নেমে পড়েছে। এ ছাড়াও ইরান এবং চিনের ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের হ্যাকাররাও কাজ করছেন।

512

২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ডেমোক্রেটিক প্রার্থীর তথ্য  রুশ হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছিল। 

612

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ধারণা যে, ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনের পরাজয়ের নেপথ্যে ভূমিকা ছিল রাশিয়ার। এই লক্ষ্যে সাইবার হামলা চালানো ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছিল ফেইক নিউজ।

712

 স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলারের তদন্তে বেরিয়ে আসে রাশিয়ান হ্যাকাররা ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির কম্পিউটার সিস্টেম এবং শ্রীমতি  ক্লিন্টনের প্রচারের প্রধান দায়িত্বে থাকা  জন পোদেস্টার ব্যক্তিগত ইমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে সক্ষম হয়। ফাঁস হয় হাজার হাজার ইমেইল। পরে ফেসবুকও স্বীকার করে রুশ সমর্থিত বিভিন্ন কন্টেন্ট তাদের প্লাটফর্মে প্রায় ১২ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন নাগরিকের কাছে পৌঁছায়।

812

ইএমআই স্থগিতের নাম করে ভুয়ো ফোন কল, ফাঁদে পা দিলে ফাঁকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট

912

টম বার্ট নিজের বিবৃতিতে বলেন, ‘২০১৬ সালে যেমনটি দেখা গিয়েছিল সেই একইরকমভাবে মানুষের লগ-ইন তথ্য এবং তাদের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য পেতে কার্যক্রম চালানো শুরু করেছে স্ট্রোনটিয়াম (রুশ প্রতিষ্ঠান), ধারণা করা হচ্ছে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ কিংবা কার্যক্রম ব্যহত করতেই এগুলো করা হচ্ছে।’ মার্কিন  প্রতিষ্ঠানটি বলছে, চিনা হ্যাকাররা বাইডেনের প্রচারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। আর ইরানি হ্যাকাররা ট্রাম্পের প্রচারে সহযোগিতাকারী ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু বানানো অব্যাহত রেখেছে।

 

1012

তবে এসব সাইবার হামলার বেশিরভাগই সফল হতে পারেনি বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, হামলাকারীরা এখনও নির্বাচন ব্যবস্থা দেখভালের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু বানায়নি।

1112

মাইক্রোসফটের বিবৃতির পরেই ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার  দলের ডেপুটি ন্যাশনাল প্রেস সেক্রেটারি থিয়া ম্যাকডোনাল্ড বলেন, এবারের নির্বাচনে যে বাইরের শক্তিরা ট্রাম্পকে হারানোর ষড়যন্ত্র করবে, তা তাঁদের জানা। কিন্তু এত কিছু করেও প্রেসিডেন্টকে হারানো যাবে না। জো বাইডেনের শিবির অবশ্য এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

1212

চিন এবং ইরানের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত মাইক্রোসফটের এই অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে আমেরিকায় অবস্থিত রাশিয়ার দূতাবাসের প্রতিনিধি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, এই ধরনের অভিযোগ করার আগে আমেরিকার প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া উচিত। নইলে এই সমস্ত অভিযোগ ধোপে টেকেনা।

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos

Recommended Photos