নন্দীগ্রামের সেই খুঁটি পরীক্ষা করল ফরেন্সিক দল, যেখানে পায়ে চোট পেয়েছিলেন মমতা
নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১০ মার্চ বিরুলিয়া বাজার দুর্ঘটনা ঘটে। ১৯ মার্চ ফরেন্সিক দল স্থানীয় বাজারের দুটি খুঁটিদুটি পরীক্ষা করে।
ঠিক এই দুটি খুঁটিতেই গাড়ি দরজা ধাক্কা খেয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আর দরজা বন্ধ হওয়ার সময় প্রবল আঘাত পেয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমাত বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারের রাস্তার ধারে রয়েছে এই স্তম্ভটি।
দুটি লোহার তৈরি খুঁটি। শুক্রবার স্তম্ভদুটি পরীক্ষা করেন ফরেন্সিক দলের সদস্যরা। তারপর তারাই স্তম্ভদুটিতে নোটিশ আটকে দিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন এই খুঁটি দুটির উচ্চতা মাপেন ফরেন্সিক দলের সদস্যরা। খুঁটি দুটির দূরত্ব মাপেন তাঁরা। সেখানে গাড়ির কোনও দাগ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হয়।
এদিন নন্দীগ্রাম থেকে বেশকিছি নমুনা সংগ্রহও করেন তাঁরা।
১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন সেখানে থেকে পরের দিন তাঁর কলকাতায় ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু সন্ধ্যের সময় প্রচারে বেরিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। বিরুলিয়া বাজারে তাঁর পায়ে চোট লাগে।
তৃণমূল নেত্রীর দাবি ছিল ভিড়ের মধ্যে তাঁকে কয়েকজন ঠেলে দিয়েছিল। তাতেই পড়ে গিয়ে তিনি পায়ে চোট পেয়েছিলেন। ঘটনার পরই তড়িঘড়ি তাঁকে কলকাতা নিয়ে আসা হয়। রাতেই এসএসকে এম হাসপাতা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
পুরো ঘটনাকেই পূর্বপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্র বলেও দাবি করেছিল তৃণমূল। কিন্ত প্রথম থেকে বিজেপি ও কংগ্রেস জানিয়েছে তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। মমতা আবেগ টানতেই এই অভিযোগ করছেন।
১৪ মার্চ নির্বাচন কমিশনও জানিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর হামলার কোনও ঘটনা ঘটেনি। যা ঘটেছে তা নিছকই একটি দুর্ঘটনা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের আঘাত গুরুতর। কারণ এখনও তিনি হুইল চেয়ারে বসেই প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।