'কাঁটাতার'র সীমান্ত জুড়ে প্রতিশ্রুতির চোরাস্রোতেই আটকে মুর্শিদাবাদের ভোটের বিধান, দেখুন ছবি


ভোট আসে , ভোট যায় । প্রতিশ্রুতি মেলে কিন্তু দিন বদলাই না সীমন্ত  এলাকায় বসবাস কারি  সাধারণ মানুষের জীবনধারা। সীমন্ত রক্ষী বাহিনী অর্থাৎ বি  এস এফের জুলুম বাজিতে ওই এলাকায় বসবাসকারী মৎস্যজীবী ও কৃষিজীবীদের জীবীকা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দেয় ।  এই সমস্যা দূর করতে  ভোট এলেই নেতা মন্ত্রী  প্রতিশ্রুতি দেন কিন্তু কাজ আর হয় না ।তাতেই ভোটের মুখে ক্ষোভ জমেছে সীমন্তবর্তী পদ্মা পাড়ের বাসিন্দাদের।
 

Asianet News Bangla | Published : Apr 12, 2021 3:56 AM IST

15
'কাঁটাতার'র সীমান্ত জুড়ে প্রতিশ্রুতির চোরাস্রোতেই  আটকে মুর্শিদাবাদের ভোটের বিধান, দেখুন ছবি


ফারাক্কা থেকে জলঙ্গী প্রায় ১৪২ কিমি সীমন্ত এলাকা । সীমন্তের সমতল এলাকার বেশির ভাগ জায়গাতে কাঁটাতার দেওয়ার কাজ শেষ । ভৌগলিক কারনে খুব সামান্য জায়গাতে কাঁটাতার দেওয়া সম্ভব হয় নি ।অথচ সীমন্তে বসবাসকারী  ধুলিয়ান ,জঙ্গিপুর ,লালগোলা ,ভগবানগোলা ,রানীতলা ,রানীনগর, ডোমকলের মতো বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিজীবী ও মৎস্যজীবীরা বি এস এফের নিয়মকানুনের বেড়া জালে পড়ে  অতিস্ট হয়ে উঠেছেন ।
 

25

বৈধ কাগজ পত্র দেখিয়েও জমি তে কিংবা নদী মুখি হতে দেয়না  বি এস এফের অনেক কর্তা । আর তখনই তাদের জীবিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয় । কি সেই সমস্যা জানতে   চাওয়া হলে লালগোলার মৎস্যজীবী জিতেন হালদার , উত্তম হালদার , জীবন সরকাররা বলেন , ' বাপ ঠাকুরদার হাত ধরে আমরা পদ্মা নদিতে মাছ ধরা কে জীবীকা করেছি । সেই মত দিনের আলো ফোটার আগেই ভোর বেলাতে নদীতে নামার কথা । কিন্তু বিএসফের এক একজন কর্তার একেক রকম ফরমানে মাঝে মধ্যেই  আমাদের হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হয় । ফলে সংসার চালান দায় হয়ে ওঠে । সেই আতঙ্ক গ্রাস করে বছরের বেশীর ভাগ সময়।  ভোট এলেই নেতা মন্ত্রী এই সমস্যা  সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন ।কিন্তু বাস্তবে তার ফল  পেলাম না ।'
 

35


 এদিকে সীমন্তের জমিতে কৃষক সোনার ফসল ফলিয়েও বি এস এফের     নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সেই ফসল আর কাটতে পারেন না । ফলে অচিরেই সোনার ফসল ঝরে পড়ে জমিতেই ।সীমন্তের সর্বনাশা   এই সমস্যা দূর করতে প্রতিশ্রুতি  পাল্টা প্রতিশ্রুতির  বন্যা বয়ে যায় ভোটের কয়েক মাস।কিন্তু ভোট ফুরালে ওই সব নেতা মন্ত্রীদের আর পা পড়ে না সীমন্তের গ্রাম গুলিতে  , ক্ষোভ প্রকাশ করে এমন অভিযোগ তুলেছে ভগবানগোলার  নিজামুদ্দিন শেখ , তাপস সাহা , আকালি সেখরা।
 

45

জীবীকার সমস্যা   তো আছেই সীমন্ত এলাকায় সাধারন মানুষ কাজের সন্ধানে গেলে তাদের বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করিয়ে নেওয়া তো বটেই অনেক সময় জওয়ান রা মাটি কুপিয়ে নেওয়া , ঘরের কাজ , এমন কি জামা কাপড় কাঁচিয়ে নিতেও দ্বিধা করেন না , বলেও অভিযোগ । 


 

55

এই নিয়ে সীমন্ত এলাকার মানুষের অসন্তোষ চরমে উঠেছে । এই  ব্যাপারে এলাকার বিশিষ্ট নাগরিক মিজানুর রহমান ,লুতফুল হক ,বীরেন্দ্র নাথ মন্ডল বলেন, “সীমন্ত সমস্যা দূর করা হবে শোনা যায় ভোট এলেই । কিন্তু ভোট শেষ হলে ওই সব প্রতিশ্রুতি সব কর্পূরের মতো উবে যায় । সীমন্তের  মানুষ থেকে যায় সীমন্ত সমস্যা নিয়ে ।

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos