কোভিডের নয়া স্ট্রেনে কার্যকর নয় কোভিশিল্ড, কলকাতায় সংক্রমণ বৃদ্ধিতে চিন্তায় চিকিৎসকেরা

কলকাতা তথা রাজ্য নতুন করল ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা সংক্রমণ। কমে গিয়েও আচমকাই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা। এদিকে কোভিডের নয়া স্ট্রেনে কোভিশিল্ড কার্যকর নয়, ইতিমধ্য়েই জানিয়েছে নির্মাতা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। যার জেরে সবমিলিয়ে বাংলার কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় চিকিৎসকেরা।  

শনিবারের   স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী,  পশ্চিমবঙ্গে একদিনে করোনা নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ২ জন এবং এর মধ্যে কলকাতায় একদিনে মৃত্যু সংখ্যা ১।  এবং উত্তর ২৪ পরগণায় মৃত্যু ১ জনের। বাংলায় মোট মৃতের সংখ্যা  ১০,৩০৩ জন। কলকাতায় মোট মৃতের সংখ্যা ৩,১১২।

শনিবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬ জন থেকে বেড়ে ১২৫ এবং কলকাতায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৩১,১০৬ জন। রাজ্যে এই মুহূর্তে মোট আক্রান্ত ৫৮০, ২০৯ জন।  

 উত্তর ২৪ পরগণায় একদিনে আক্রান্ত  ৭৪  জন থেকে বেড়ে ৯৯ । তবে দৈনিক সংক্রমণ কমলেও এখনও সব জেলাকে পিছনে ফেলে করোনায় প্রথম স্থানে কলকাতা, দ্বিতীয়   উত্তর ২৪ পরগণা। এদিকে একদিনে বাংলায় করোনা আক্রান্ত ২৫৫ জন থেকে বেড়ে ৩০৩ জন।   

প্রধানমন্ত্রী পরের গন্তব্য পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। এই তিনটি কেন্দ্রে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা নয়, চলছে অক্সফোর্ডের সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিন বাণিজ্যিক আকারে উৎপাদনের কাজ। এই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সংগ্রহের জ-ন্য চুক্তি করেছে ভারত সরকার।  

শনিবারের  স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী,  পশ্চিমবঙ্গে একদিনে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৯৮  জন।  তাই বাংলায় কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল   ৫৬৫,৬৭০  জন থেকে  ৫৬৬,৫২৬ জন। সুস্থতার হার  ৯৭.৬৪ শতাংশ।  

পাশাপাশি সম্প্রতি কলকাতায়  বিদেশি স্ট্রেনে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়াও বেড়েছে।  এদিকে  দক্ষিণ আফ্রিকা স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কম কাজ করছে কোভিশিল্ড , ইতিমধ্য়েই জানিয়েছে নির্মাতা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। যা নিয়ে চিন্তায় চিকিৎসকেরা।

করোনা সংক্রমণ ফের বেড়ে যাওয়ায় এবার ৪ টি শহরে নাইট কার্ফু জারি করল গুজরাট সরকার।  গুজরাট সরকার জানিয়েছে, সুরাট , ভদোদরা, এবং রাজকোটে এই ৪ শহরে ১৭ মার্চ থেকে   নাইট কার্ফু জারি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাত ১০ টা থেকে সকাল ৬ পর্যন্ত নাইট কার্ফু  জারি থাকবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত।