দেশের তাবড় নেতাদের সম্পত্তি যখন ক্রমশই বাড়ছে, বারবারই আর্থিক তছরূপের দায়ে শ্রীঘরের ঘানি টানতে হচ্ছে নামকরা নেতাদের, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির পরিমাণ নাকি কমেছে অর্ধেকেরও বেশি। এটাই সত্যি। ২০২১ সালে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া তথ্য অন্তত তাই বলছে।
২০১৬ সালের নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে হলফনামা পেশ করেছিলেন তার সঙ্গে ২০২১ সালের হলফনামার তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি সম্পদ কমেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
29
তাই ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি নিয়ে যতই কানাঘুষো থাকুক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি বাড়েনি তো অবশ্যই, বরং কমেছে।
39
বিজেপি, সিপিএম সহ বিরোধীদের নিশানায় রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। এমনকী কয়লা পাচার, গরু পাচার সহ বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে যোগ রয়েছে বলেও বারবার অভিযোগ করেছে বিরোধীরা।
49
কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিকের ধারে কাছে নেই। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলফনামায় নিজের সম্পত্তির পরিমাণ যাই দিন না কেন, বিরোধীদের অভিযোগ বিগত ১০ বছরের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির পরিমাণ আকাশছোঁয়া হয়েছে।
59
তবে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে দেশের মধ্যে সবথেকে কম সম্পদশালী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া তথ্য অন্তত তাই বলছে।
69
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোট সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছেন ১৬.৭২ লক্ষ টাকার যা ২০১৬ সালের হলফনামায় ছিল ৩০,৪৫,০১৩ টাকা। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর সম্পদ কমেছে প্রায় ১৩ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকার বেশি।
79
২০২১ সালে পেশ করা হলফনামায় অনুযায়ী বর্তমানে তার হাতে নগদ রয়েছে ৬৯,২৫৫ টাকা। ব্যাঙ্কে থাকা অর্থের পরিমাণ ১৩.৫৩ লক্ষ টাকা। অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং গয়নার পরিমান যথাক্রমে ১৮,৪৯০ টাকা এবং ৪৩,৮৩৭ টাকা।
89
২০১৬ সালের মুখ্যমন্ত্রীর হলফনামা অনুযায়ী হাতে থাকা নগদের পরিমাণ ছিল ১৮,৪৩৬ টাকা। তিনটি ব্যাঙ্কে রাখা অর্থের পরিমাণ ছিল ২৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৩১ টাকা।
99
বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৪৯০ টাকা। গয়নার ক্ষেত্রে মোট বিনিয়োগ ছিল ২৬ হাজার ৩৮০ টাকা। পাশাপাশি অন্যান্য সম্পত্তির পরিমাণ ছিল টাকার হিসেবে ২ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮ টাকা।