ঘটনার সূত্রপাত ৪ সেপ্টেম্বর। সেদিন বীরভূমের রামপুরহাটে মহকুমাশাসকের দপ্তরের সামনে 'গণতন্ত্র বাঁচাও' কর্মসূচি ছিল বিজেপি। সেই কর্মসূচিতে শামিল হন দলের দলের জেলা সভাপতি শ্যামপদ মণ্ডল-সহ আরও অনেকে।
জনসভায় বক্তব্য় রাখতে গিয়ে নলহাটি থানার ওসি দেবব্রত সিনহাকে নিশানা করেন শ্যামাপদ। তাঁর হুঁশিয়ারি, 'ভদ্রপুরে একজন ভিলেজ পুলিশকর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁকে সাসপেন্ড করেছেন। ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পর আপনাকে নাকে দড়িয়ে আমার ঘোরাব।'
ওই জনসভাতেই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন বিজেপির বীরভূম জেলা কমিটির সদস্য মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি আবার তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে 'মৃত্যুভয় কাকে বলে, তা বুঝিয়ে দেওয়া'র হুমকি দেন।
বিজেপি প্রথমসারির দুই নেতার বিরুদ্ধে রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তোতা শেখ নামে এক ব্যক্তি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।
এর আগে দু'বার রামপুরহাট থানায় ডেকে পাঠিয়ে মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেছে পুলিশ। শুক্রবার থানায় হাজির দিলেন বিজেপি-এর জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলও। রাত পর্যন্ত জেরা করা হয় তাঁকে।