কতটা ভয়ঙ্কর ছিল আমফানের সেই দিনটা, আরও এক ঘূর্ণিঝড় আসার আগে ফিরে দেখা ছবিতে ছবিতে

এগিয়ে আসছে সাইক্লোন যশ (Cyclone Yaas)। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এখনও অবধি যে পথ ধরে এগিয়ে চলেছে যশ, তাতে বঙ্গে সরাসরি আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। ওড়িশার বালাসোরের দক্ষিণ অংশ দিয়ে যশ প্রবেশ করবে স্থলভাগে। বাংলার মধ্যে শুধুমাত্র উপকূলীয় মেদিনীপুর ঝড়ের ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। তাও নিশ্চিন্ত হতে পারছে না বাংলার মানুষ। এক বছর আগেই তো দেখতে হয়েছিল আমফানের ধ্বংসলীলা। কতটা ভয়ঙ্কর ছিল সেই দিনটা? কতটা ভয়াল হয়ে উঠেছিল প্রকৃতি? ফিরে দেখাযাক ছবিতে ছবিতে -

 

amartya lahiri | Published : May 25, 2021 3:30 PM IST / Updated: May 27 2021, 02:48 PM IST
115
কতটা ভয়ঙ্কর ছিল আমফানের সেই দিনটা, আরও এক ঘূর্ণিঝড় আসার আগে ফিরে দেখা ছবিতে ছবিতে

দিনটা ছিল ২১ মে। সকাল থেকেই ছিল তীব্র ঝোড়ো হাওযা ও বৃষ্টি। বিকেলে দাপত বেড়েছিল দুইয়েরই। আর মাঝের ৩০ মিনিট, ছিল শুধুই আতঙ্কের, তছনছ হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের  বিস্তীর্ণ অংশ। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি বাড়ির চাল উড়ে গিয়ে জড়িয়ে গিয়েছে বিদ্যুতের তারে।

215

দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে উপড়ে গিয়েছিল অংশ গাছ।যার জেরে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল বহু জায়গায় যোগাযোগ।

315

রেহাই পায়নি শহর কলকাতাও। কলতারা বুকে উপরে যাওয়া গাছ সরাতে লেগে গিয়েছিল পরের বেশ কয়েকটা দিন।

415

২১ মে-র রাতেই অন্ধকার নেমে এসেছিল কলকাতার বহু এলাকায়। অনেক জায়গায় ৫-৬ দিন পরও ফেরেনি বিদ্যুৎ সংযোগ।

515

রাতেই গাছ কেটে রাস্তা সাফ করা এবং হতাহতদের উদ্ধারের কাজে নেমেছিল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

615

কলকাতার বুকে সবচেয়ে জননপ্রিয় হয়েছিল এই ছবিটি। উপরে যাওয়া একটি গাছ পড়ে, তার নিচে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মিনিবাস প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছিল।

715

ইস্পাতের তৈরি বিদ্যুতের বা ট্রাফিক লাইটের খুঁটিগুলি এমনভাবে ভেঙে পড়েছিল, যে মনে হচ্ছিল, যেন খেলনা।

815

তবে এনডিআরএফ বা পুরকর্মীদের সাধ্যে কুলায়নি, অত গাছ  কেটে রাস্তা পরিষ্কার করার কাজ। শেষ পর্যন্ত হাত লাগাতে হয় সেনাবাহিনীকে।

915

এটা কোনও জলাশয় নয়, কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চেহারাটি ছিল ঠিক এরকম।

1015

আর উপকূলীয় বাংলায় সমুদ্রের জল ঢুকে মিলে মিশে গিয়েছিল, জলাশয়-জমিজমা। ক্ষতি হয়েছিল বহু ফসলের। 

1115

ভেঙে পড়া ঘর থেকে শেষ সম্বল উদ্ধারের চেষ্টা।

1215

ঝড়ে ভেঙে যাওয়া, বৃষ্টিতে ভিজে ন্যাতন্যাতে পাঠ্যবই শুকিয়ে নিয়ে ফের পড়াশোনা করতে উদ্যোগী দুই খুদে।

1315

পরের বেশ কয়েকটা দিন বহু মানুষ থাকতে বাধ্য হয়েথিলেন ত্রাণ শিবিরে। বাড়িঘর, জমিজমা, সহায়সম্বল সবই তখন প্রকৃতির গ্রাসে। 

1415

ঝড়ের প্রকোপে আহত মানুষদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আর কোনও উপায় ছিল না তখন। 

1515

এমনকী প্রকৃতির রোষ থেকে রেহাই পায়নি দেব বিগ্রহও।

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos