ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সূচনা দিবসে মুখোমুখি শুভেন্দু-সৌমেন, উত্তেজনা ছড়াল তমলুকে

Published : Aug 09, 2021, 07:48 PM IST

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সূচনা দিবসে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হল তমলুকে। শুভেন্দু অধিকারীকে দেখে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। তমলুকের বেনেপুকুরে স্বাধীনতা সংগ্রামী মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তিতে প্রথমে মাল্যদান করেন সেচমন্ত্রী সৌমেন কুমার মহাপাত্র। ঠিক তারপরেই ওই মূর্তিতে মাল্যদান করেন শুভেন্দু। আর ঠিক সেই সময় গদ্দার হাটাও বলে স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা।

PREV
110
ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সূচনা দিবসে মুখোমুখি শুভেন্দু-সৌমেন, উত্তেজনা ছড়াল তমলুকে

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সূচনা দিবসে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে মুখোমুখি হয় বিজেপি ও তৃণমূল। দুই দল মুখোমুখি হওয়ার পরই সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলা। স্লোগান পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে গদ্দার হাঠাও স্লোগান তোলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।

210

আজ দুপুরে তমলুকের বেনিয়াপুকুরে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তিতে প্রথমে মাল্যদান করেন সৌমেন মহাপাত্র। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই মিছিল করে সেখানে পৌঁছান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। তারপর মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তিতে তিনিও মাল্যদান করেন।

310

এদিকে দুই দল মুখোমুখি হয়ে যাওয়ায় রীতিমতো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় সেখানে। একে অপরকে লক্ষ্য করে স্লোগান দিতে থাকেন দুই দলের কর্মী-সমর্থকরা। চলে একে অপরকে কটাক্ষ করে স্লোগান ও পাল্টা স্লোগান। দু'পক্ষের মধ্যে চলে রেষারেষি।

410

দুই হেভিওয়েট নেতার উপস্থিতিতেই উত্তেজনা ছড়ায়। দুই নেতা পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খান। তৃণমূলের কর্মীরা বিদ্রুপের শিকার হন শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা বিজেপি সমর্থকরাও কটুক্তি করেন সৌমেন মহাপাত্রকে। পরে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। 

510

বিজেপির মিছিল থেকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান ওঠে। পাল্টা ‘গদ্দার হঠাও’ স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। মুহূর্তে উত্তেজনা ছড়ায়। তবে নেতৃত্বের তৎপরতায় সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই মূর্তিতে মাল্যদান করেন দু'পক্ষই।

610

তবে এই উত্তেজনাকে তেমন একটা গুরুত্ব দেননি শুভেন্দু। তাঁর কথায়, বিরোধী ২টি দল মুখোমুখি হলে সামান্য উত্তেজনা ছড়াবেই। তবে অপ্রীতিকর কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। অবশ্য অপ্রিতীকর পরিস্থিতি হওয়ার আগেই সেখানে সামাল দেয় পুলিশ। পাশাপাশি এই উত্তেজনাকে বিশেষ একটা গুরুত্ব দেননি দুই দলের অন্য কর্মীও।

710

বিজেপির এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে সৌমেন বলেন, "আমি জানি না শহিদকে শ্রদ্ধা জানানোর সময় বাজনা বাজিয়ে যেতে হয়। অবশ্য সেটা তাঁদের বিষয়। আমরা আমাদের মতো বিনম্র চিত্তে শহিদ স্মরণ করেছি। শ্রদ্ধা জানিয়েছি।"
 

810

এরপর উত্তেজনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কোথায় কি জনরোষ হয়, কোথায় কে কী বলেছেন সেটা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। তবে আমি যতক্ষণ ছিলাম সেখানে ততক্ষণ এই ধরনের কোনও ঘটনাই ঘটেনি।"

910

এদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরোধিতা করে চলেছেন শুভেন্দু। কিছুদিন আগেই কেন্দ্রের প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার বিলের প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য সরকারকে পাল্টা আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দু। 

1010

গতবছর ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু। আর তিনি দল ছাড়ার পরই তাঁকে গদ্দার বলে আক্রমণ করতে শুরু করেছিল তৃণমূল। নির্বাচনী প্রচার মঞ্চ থেকে একাধিকবার শুভেন্দুকে আক্রমণ করেছেন মমতা। পাল্টা কংগ্রেসত্যাগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাহলে কী বলা উচিত বলে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। 

click me!

Recommended Stories