ভাড়া দিন- বাস কন্ডাক্টরের জিজ্ঞাসা মেজাজ চরমে পুলিশ কর্মীর, চলন্ত বাসেই চলল মারধর।

Published : Sep 15, 2022, 04:03 PM ISTUpdated : Sep 15, 2022, 04:39 PM IST
ভাড়া দিন- বাস কন্ডাক্টরের জিজ্ঞাসা মেজাজ চরমে পুলিশ কর্মীর, চলন্ত বাসেই চলল মারধর।

সংক্ষিপ্ত

বাসে  উঠে ড্রাইভার বা প্যাসেঞ্জেরদের সাথে বচসা আমাদের এখানে নিত্যদিনের গল্প। বাস ধীরে চালানোর জন্য হোক বা প্যাসেঞ্জের বেশি তোলার জন্য।  পাবলিক বাসের প্যাসেন্জাররা কোনো ভাবেই কন্ডাকটর বা চালককে কটাক্ষ করতে ছাড়েন না। কন্ডাক্টর - প্যাসেঞ্জের এই সম্পর্ক একেবারে আদি অকৃত্রিম।  কিন্তু বাস কন্ডাক্টরের সাথে এবার রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়ালেন  প্যাসেঞ্জেররূপী এক পুলিশ। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের।  রাজধানী ভোপালের পুলিশ হেডকোয়াটার থেকে সকাল ১০ নাগাদ বাসে উঠেছিলেন এক এনসিসি ক্যাডেট। তিনি যতদূর যাবেন তাতে টিকিটের  ভাড়া হয়  ১৫ টাকা।  কিন্তু পুলিশটি  আবদার করে বসে সে ১০ টাকার এক পয়সাও বেশি দেবে না। কি অন্যায় আবদার। এইরকম আবদার কন্ডাক্টরই বা মানবেন কেন?  বেশ লাগলো হাতাহাতি।     

 বাসে উঠে ড্রাইভার বা প্যাসেঞ্জেরদের সাথে বচসা আমাদের এখানে নিত্যদিনের গল্প। বাস ধীরে চালানোর জন্য হোক বা প্যাসেঞ্জের বেশি তোলার জন্য।  পাবলিক বাসের প্যাসেন্জাররা কোনো ভাবেই কন্ডাকটর বা চালককে কটাক্ষ করতে ছাড়েন না। এমনকি বাস খুব ধীরে চালানোর কারণে বাসের  অনেক প্যাসেঞ্জেরদেরই বলতে শোনা যায় " দাদা এবার কি  বাড়ি থেকে প্যাসেঞ্জের ডেকে আনবেন নাকি ?"কন্ডাক্টর - প্যাসেঞ্জের এই সম্পর্ক একেবারে আদি অকৃত্রিম।  কিন্তু বাস কন্ডাক্টরের সাথে এবার রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়ালেন  প্যাসেঞ্জেররূপী এক পুলিশ।  

ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের।  রাজধানী ভোপালের পুলিশ হেডকোয়াটার থেকে সকাল ১০ নাগাদ বাসে উঠেছিলেন এক এনসিসি ক্যাডেট। সম্ভবত কাজ সেরেই বাড়িই ফিরছিলেন তিনি।  কন্ডাকটর স্বভাবতই তার কাছে গেছিলেন টিকিট চাইতে।  তিনি যতদূর যাবেন তাতে টিকিটের  ভাড়া হয়  ১৫ টাকা।  কিন্তু পুলিশটি  আবদার করে বসে সে ১০ টাকার এক পয়সাও বেশি দেবে না।  কি অন্যায় আবদার। এইরকম আবদার কন্ডাক্টরই বা মানবেন কেন?  বেশ লাগলো হাতাহাতি।  

ভিডিওটি সিসিটিভি বন্দি হয়।  ২৫ সেকেন্ডের এই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে বাস কন্ডাকটর আর এনসিসি ক্যাডেটটির মধ্যে  ভাড়া নিয়ে রীতিমতো  কথা কাটাকাটি চলেছে।  কন্ডাক্টরটি বেশি ভাড়া দাবি করায়, পুলিশটি যান বেজায় চোটে।  উত্তপ্ত কথোপকথনের পর  পুলিশটি যখন বাসের দরজার দিকে এগোচ্ছেন, কন্ডাক্টরটি তাকে পিছন থেকে টেনে ধরে।  বেশ তাতেই মেজাজ হারান পুলিশ। বাসে সকলের সামনেই প্রবল মারধর করতে শুরু করেন কন্ডাক্টরটিকে। ঘুসির চোটে কন্ডাক্টরটি টোলে পড়েন এক যাত্রীর  গায়ে। পরাক্রম ওই পুলিশের ঘুসির  হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে সিট্ থেকে ভয়ে উঠে পড়েন ওই যাত্রী। বাকি যাত্রীরা তখন নীরব দর্শক।  এরপরের ঘটনাটি সংক্ষিপ্ত , পুলিশটি বুঝতে পারেন  তার গন্তব্য এসে গেছে। তাই  তিনি ব্যাগ নিয়ে দ্রুত নেমে যান বাস থেকে। কন্ডাকটর তার পিছনে দৌড়ালেও, নিমেষের মধ্যে তার নাগালের বাইরে চলে যায় পুলিশটি।    
  
ভোপালের পরিবহন সংস্থা ওই পুলিশটির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন জাহাঙ্গীরবাদ থানায়।  জাহাঙ্গীরবাদ থানার পুলিশ ওই এনসিসি ক্যাডেটের বিরুদ্ধে ৩২৩ ও ৫০৪ ধারায় মামলা রুজু করেন।  

এই ঘটনা আবারো প্রমান করে যে ভারতের সংবিধান সকলের জন্যই সমান।  যেই অন্যায় করুক না কেন সংবিধান অনুসারে তাদের প্রত্যেককেই যথাযোগ্য শাস্তি পেতে হবে।  তবে জাহাঙ্গীরবাদ থানার পলিশের তৎপরতায় এই এনসিসি ক্যাডেটটির দৌরাত্ম কতটা কমে সেটিই  এখন দেখার । 
 

PREV
click me!

Recommended Stories

জেনে নিন আজ শহরের ডিজেল ও পেট্রোলের দাম কত
Iqra Choudhary : 'তোষণের নামে মুসলিমদের টার্গেট করা হচ্ছে' সংসদে ইকরা চৌধুরীর হুঙ্কার!