সন্দীপ মজুমদার, হাওড়া: তাহলে কী বিরোধীদের অভিযোগই সঠিক! আমফানের ত্রাণ বিলিতে 'দুর্নীতি' নিয়ে উত্তাল নিয়ে রাজ্য রাজনীতি। হাওডায় এবার শোকজের মুখে পড়লেন ৫ জন তৃণমূল নেতা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে তাঁদের।
কাদের শোকজ করা হল? মঙ্গবার ডোমজুড়ের মাকড়দহ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কাজল সর্দার, উত্তর ঝাপরদহ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুভাষ পাত্র এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানের স্বামী সুমন ঘোষাল, জগৎবল্লভপুরের পাঁতিহাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেচারাম বসু, সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ঘোষকে শোকজ করার কথা জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা হাওড়া জেলা সভাপতি(সদর) অরূপ রায়। যাঁদের শোকজ করা হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আমফানের ত্রাণ বিলি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মন্ত্রীর অরূপ রায় জানিয়েছেন, দলীয় স্তরে তদন্তে পরেই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের উত্তর পাওয়ার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, রাজ্য সরকার কোনওভাবেই দুর্নীতি বরদাস্ত করবে না। ঘুর্ণিঝড়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরাই আর্থিক সাহায্য় পাবেন।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে তৃণমূল পরিচালিত হাওড়ার মাকড়দহ- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানের বিরুদ্ধে ত্রাণ বণ্টনে দুর্নীতি ও স্বজনপোষনের অভিযোগ ওঠে। লাঠি, জুতো হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘেরাও করা হয় পঞ্চায়েত অফিসও। বিজেপি তরফেও পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের সাফাই, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত সঠিক তালিকাই পাঠিয়েছিলেন। প্রশাসনের অসহযোগিতায় গন্ডগোল হয়েছে।