সন্দীপ মজুমদার, হাওড়া: দুষ্কৃতীরা কি বোমা মজুত করে রেখেছিল? এবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। উড়ে গেল স্কুল বাড়ির জানলা। বরাতজোরে রক্ষা পেলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বাগনানে।
আরও পড়ুন: 'কোভিড রোগী ফেরানো যাবে না', বিল নিয়েও বেসরকারি হাসপাতালকে কড়া বার্তা রাজ্য সরকারের
লকডাউনের জেরে কাজকর্ম লাটে উঠেছে। দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিক ফিরছেন রাজ্যে। বিভিন্ন জায়গায় স্কুল বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করে তাঁদের থাকা বন্দোবস্ত করেছে প্রশাসন। আর তা নিয়েই যত গন্ডগোল। করোনা আতঙ্কে কোথাও কোরায়েন্টাইন সেন্টার খুলতে বাধা দিচ্ছেন স্থানীয়েরা, তো কোথাও আবার বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের 'অব্যবস্থা' নিয়েও ক্ষোভ বাড়ছে।
জানা গিয়েছে, বাগনানে অষাড়িয়া গ্রামে ঈশ্বরীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করে রাখা হয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের। দিন কয়েক ফিরে গিয়েছেন যে যার বাড়িতে। বৃহস্পতিবার সকালে আচমকাই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে দেখেন, স্কুলের একটি ঘর লাগোয়া এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণে তীব্রতায় উড়ে দিয়েছে জানলা। যেখানে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানে দুষ্কৃতীরা বোমা মজুত করে রেখেছিল বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। শুরু হয়েছে তদন্ত।
আরও পড়ুন: কলকাতায় একদিনে চিহ্নিত প্রায় ২০০ বাড়ি, কনটেইনমেন্ট জোন বৃদ্ধির কারণ বললেন মুখ্যসচিব
অষাড়িয়া ঈশ্বরীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ দাস জানিয়েছেন, আমফানের সময়ে স্কুলে চাবি চেয়ে নেয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীকালে স্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খুলে রাখা হয় পরিযায়ী শ্রমিকদের। এখনও চাবি ফেরত পাননি। অন্য স্কুল থেকে দিতে হয়েছে মিড-ডে মিলের চাল। স্কুলের বিস্ফোরণের ঘটনার নিন্দা করেছেন সকলেই। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি উঠেছে।