লকডাউনে ত্রাতা সরকারি হাসপাতাল, আপতকালীন পরিষেবার সুফল পেলেন যুবক

  • লকডাউনের মাঝেই ঘটল বিপত্তি
  • আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়লেন যুবক
  • বাড়িতে হাজির মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা
  • আপতকালীন পরিষেবায় মিলল সুফল

Tanumoy Ghoshal | Published : Apr 16, 2020 1:50 PM IST / Updated: Apr 16 2020, 08:30 PM IST

ফোন পেয়েই বাড়িতে হাজির হলেন মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা। লকডাউনে সরকারি হাসপাতালের আপতকালীন পরিষেবার সুফল ফেলেন যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বাগনানে। 

আরও পড়ুন: করোনা যুদ্ধে বিজয়ী, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন মধ্যমগ্রামের কাউন্সিলর

জমায়েত করার তো প্রশ্নই উঠে না। করোনা আতঙ্কে এখন বাড়ির বাইরে বেরনোরও উপায় নেই। মঙ্গলবার লকডাউনের সময়সীমা ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। ফলে আপাতত গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। পরিস্থিতি এমনই যে, হঠাৎ করে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। আবার হাসপাতালে রোগীদের ভিড় বাড়লেও তো বিপদ। তাহলে উপায়? হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার সরকারি হাসপাতালগুলিতে চালু হয়েছে 'ডক্টরস অন কল' পরিষেবা। ফোনেই রোগীর বাড়ির লোককে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। প্রয়োজনে বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছেন আশাকর্মীরা, এমনকী, মেডিক্যাল টিমের সদস্যরাও।

আরও পড়ুন: করোনা সতর্কতায় প্রশাসনের পদক্ষেপের সমালোচনা, বিপাকে বিজেপি সাংসদ

আরও পড়ুন: বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষা, উত্তরপাড়ায় থার্মাল স্ক্রিনিং শুরু করল পুরসভা

বাগনানের দ্বিপামালিতা গ্রামে থাকেন সহদেব মল্লিক। বুধবার সকালে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বুকে ব্যাথা, সঙ্গে শ্বাসকষ্টের উপসর্গও ছিল। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, লকডাউনের কারণে ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি পাচ্ছিলেন না। একজন যদিবা রাজী হয়েছিলেন, কিন্তু রোগীর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে শুনে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেন তিনি। নিরুপায় হয়ে স্থানীয় কল্য়াণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান সোমা ভৌমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সহদেবের পরিবারের লোকেরা। প্রধানের কাছ থেকে খবর পান বাগনান ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস। আর দেরি করেননি, বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেন বিডিও। তাতেই কাজ হয়। 

জানা গিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্স ও ওষুধ-সহ খোদ মেডিক্যাল অফিসারকেই সহদেব মল্লিকের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে বিএমওএইচ পল্লাশ মল্লিক। চিকিৎসায় অনেকটাই সুস্থ হয়ে ওঠেন বছর সাতাশের ওই যুবক। গ্যাসট্রিকের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। স্বস্তি পান পরিবারের লোকেরা।

Share this article
click me!